প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
কাগজ ডেস্ক : ওমিক্রনের সংক্রমণ করোনা ভাইরাস মহামারির নতুন অধ্যায়ের সূচনা করেছে। এর মধ্য দিয়ে ইউরোপে মহামারি শেষ হতে চলেছে বলে আশার বাণী শুনিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) ইউরোপ অধ্যায়ের পরিচালক হ্যানস ক্লাগ।
গতকাল সোমবার এএফপিকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আসছে মার্চ মাসের মধ্যে ৬০ ভাগ ইউরোপীয় ওমিক্রনে আক্রান্ত হতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, ইউরোপ মহামারির শেষ পর্বের দিকে যাচ্ছে। সংক্রমণ কমে গেলেও বেশ কয়েক সপ্তাহ ও বেশ কয়েক মাস ধরে বিশ্বব্যাপী রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা টিকে থাকবে। ক্লাগ বলেন, এ বছরের শেষ দিকে আবার করোনার সংক্রমণ হতে পারে। তবে তার আগে করোনার প্রভাব খুব বেশি থাকবে না।
গত রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউচিও একই সম্ভাবনার কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন জায়গায় করোনার সংক্রমণ কমে আসছে। পরিস্থিতি ভালো বলে মনে হচ্ছে। আফ্রিকায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আঞ্চলিক কার্যালয় জানায়, ওমিক্রনের চতুর্থ ঢেউ শুরুর পরে গত সপ্তাহে করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুহার প্রথমবারের মতো কমতে দেখা গেছে। গবেষণা বলছে, ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রনে সংক্রমণ বেশি, তবে গুরুতর অসুস্থতা কম।
তবে ক্লাগ এও বলেন, করোনা ভাইরাস স্থানীয় বা মৌসুমি রোগ কিনা, তা বলার সময় এখনো আসেনি। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের গতিপ্রকৃতি বারবার আমাদের বিস্মিত করেছে। তাই আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। ওমিক্রনের সংক্রমণ যেভাবে ছড়াচ্ছে, তাতে আরো নতুন ধরনের সংক্রমণ হতে পারে।
দ্য ইউরোপীয় কমিশনার ফর ইন্টারনাল মার্কেটসের থিয়েরি ব্রিটন গতকাল ফরাসি টেলিভিশন চ্যানেল এলসিএলকে বলেন, যেসব টিকা আছে সেগুলোকে করোনার যে কোনো নতুন ধরনের বিরুদ্ধে কার্যকর। আমরা টিকাগুলো বিশেষ করে এমআরএনএকে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরনের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর উপযোগী করে বানাতে প্রস্তুত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইউরোপ অঞ্চলে ৫৩টি দেশ রয়েছে। এর মধ্যে মধ্য এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশও রয়েছে।
এদিকে করোনা মহমারি বিশ্বকে এক ‘জটিল সন্ধিক্ষণে’ এনে দাঁড় করিয়েছে জানিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসুস বলেন, সব দেশ একসঙ্গে সক্রিয় হলেই নির্মূল হবে মহামারি। গতকাল সোমবার সুইজারল্যান্ডের রাজধানী জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে গেব্রিয়েসুস বলেন, চলতি বছর মহামারি তৃতীয় বর্ষে পা রেখেছে এবং বিশ্বকে এক জটিল সন্ধিক্ষণের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। এই সংকট নির্মূল করতে হলে অবশ্যই আমাদের সবার একসঙ্গে কাজ করতে হবে। কেবল ভীতি আর অবহেলার মধ্যে ঘুরপাক খেলে মহামারি থেকে উত্তরণ সম্ভব নয়। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সবচেয়ে বড় দাতা দেশের নাম জার্মানি।
উল্লেখ্য, এতকাল এ সংস্থার
সবচেয়ে বড় দাতা দেশ ছিল যুক্তরাষ্ট্র। সংস্থার পরিচালনা সংক্রান্ত বার্ষিক তহবিলের ১৫ শতাংশের জোগান দিত এই দেশটি। তবে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজ স¤প্রতি বলেন, বিশ্ব থেকে করোনা মহামারি নির্মূল ও বৈশ্বিক টিকাদান কর্মসূচিকে আরো বেগবান করতে তার সরকার সাধ্যমত পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।