প্রজ্ঞাপন জারি : সরকারি-বেসরকারি অফিস অর্ধেক জনবলে আজ থেকে

আগের সংবাদ

বৈধ লবিস্টের প্রশ্নবিদ্ধ ব্যবহার : বিএনপি-আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ > ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের

পরের সংবাদ

বাউফলে ১ কিমির মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ দুই সেতু!

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

অতুল পাল, বাউফল (পটুয়াখালী) থেকে : বাউফল উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব জৌতা গ্রামে মাত্র ১ কিলোমিটারের মধ্যে রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণ দুটি সেতু। সেতু দুটি পারাপার হতে গিয়ে চরম দুর্ভোগের পড়েছেন এলাকাবাসী। প্রায় ১২ বছর ধরে এই সেতু দুটি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন ওই এলাকার মানুষ। তবুও ঝুঁকিপূর্ণ সেতু মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০০২ সালে পূর্ব জৌতা গ্রামের ৭নং ওয়ার্ডে বাউফল-নওমালা খালের ওপর ১ কিলোমিটারের ব্যবধানে দুটি আয়রন সেতু নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের কিছু দিনের মাথায় দুটি সেতুর স্লিপার ভেঙে চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়ে।
এরপর আর সংস্কার না করায় বর্তমানে সেতু দুটি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রয়োজনের তাগিদে ওই এলাকার মানুষ সেতু দুটির ওপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করে প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন।
১০৪নং পূর্ব জৌতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, প্রতিদিন ওই বিদ্যালয়ের শতাধিক শিক্ষার্থী ঝুঁকিপূর্ণ সেতু পারাপার হয়ে আসা-যাওয়া করে। সেক্ষেত্রে যে কোনো সময় হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে।
আইয়ুব আলী, রহিম মৃধা ও শাকিলসহ একাধিক এলাকাবাসী বলেন, সেতু দুটি মেরামতের দাবি দীর্ঘদিনের। কিন্তু কর্তৃপক্ষের বিষয়টি নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। এলাকাবাসীর উদ্যোগে আমরা সেতুর ওপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করে যাতায়াত করছি। আমরা দ্রুত সেতু দুটি মেরামত করার দাবি করছি।
এলাকাবাসীরা জানান, সেতু দুটি পাড় হতে গিয়ে একাধিক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী গুরুতর আহত হয়েছেন। এরকম ঘটনা ঘটে অহরহ ঘটছে। স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কাছে সেতু দুটি নিয়ে অনেকবার বলা হয়েছে। তারা ঠিক করছি করছি বলে অনেকবার আশ্বস্থ করেছেন। কিন্ত এলাকাবাসীদের অনুরোধ তারা কানে নেয়নি। এজন্য এলাকাবাসীরা চরম ক্ষুব্ধ।
বাউফল ইউপি চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন জানান, সেতু দুটির করুন অবস্থার কথা উপজেলা পরিষদের সভায় একাধিকবার উত্থাপণ করা হয়েছে। অপরদিকে এলজিইডির কাছেও বিষয়টি কয়েকবার বলা হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় কেউই এগিয়ে আসছেনা। এতে এলাকাবাসীর ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে এলজিইডির বাউফল উপজেলা প্রকৌশলী মো. সুলতান হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। সেতু দুটি পরিদর্শন করে শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়