প্রজ্ঞাপন জারি : সরকারি-বেসরকারি অফিস অর্ধেক জনবলে আজ থেকে

আগের সংবাদ

বৈধ লবিস্টের প্রশ্নবিদ্ধ ব্যবহার : বিএনপি-আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ > ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের

পরের সংবাদ

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ : ইসি গঠনে ফখরুলকে দায়িত্ব দিলেই বিএনপি খুশি হবে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের দায়িত্ব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দিলেই কেবল বিএনপি খুশি হবে, অন্যথায় নয়। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি রাষ্ট্রপতির সংলাপে যায়নি। কিন্তু বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা, মিছিল, টকশো এবং অন্যান্য জায়গায় তারা বলেছিল, আইন করতে সময় লাগে না, দুই দিনেই করা যায়। দেশে অনেক কিছুই প্রয়োজনের নিরিখে হয়েছে এটি রাষ্ট্রের প্রয়োজনে, এজন্য তারা আইন করতে তাগাদা দিয়েছিলেন। এখন আইন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তারা বিরোধিতা করছে। প্রস্তাবনাটি সংসদে উঠেছে, সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে গেছে। বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী, সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান ব্রিফ করেছেন, বিএনপির প্রতিনিধিদের পক্ষেও ব্রিফ করা হয়েছে এবং আইনের খসড়ায় তারা যে সংশোধনীগুলো প্রস্তাব করেছিলেন তার অনেক কিছুই নেয়া হয়েছে। অর্থাৎ সবাইকে নিয়ে পুরো প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আইন করা হচ্ছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি চায় বাংলাদেশে একটি ঘোলাটে পরিস্থিতি তৈরি হোক। বিএনপি কোনো কিছুতেই খুশি হবে না। তিন মাস সময় নিয়ে আইন করলেও খুশি হবে না। বিএনপি খুশি হবে যদি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব দেয়া হয়।
তিনি বলেন, বদিউল আলম মজুমদার, শাহদীন মালিকসহ কয়েকজন আইনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আইন করার তাগিদ দিয়েছিলেন। তারা একটি রূপরেখাও দিয়েছিলেন। তারা পরামর্শও দিয়েছিলেন আইন করতে যদি তাড়াহুড়ো হয়, রাষ্ট্রপতির অর্ডিনেন্সের মাধ্যমে অন্তত আইনটি করা হোক। তারা এও বলেছিলেন, দেশে দুই দিনেও আইন হয়েছে। সুতরাং চাইলে একদিনেও পারা যায়। এখন যখন আইন করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে, তখন দেখলাম একটি অনলাইন মিটিংয়ে তারাই আবার বলছেন, তাড়াহুড়ো করে আইন করা সমীচীন হচ্ছে না। তাহলে তাদের উদ্দেশ্যটা কি?
সিলেটের শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আমাদের সন্তান এবং সন্তানের মতো। তাদের দাবি-দাওয়ার প্রতি সরকার সহানুভূতিশীল। আমরাও বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন নানা দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করেছি। ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান ধর্মঘট আমরাও করেছি। কিন্তু আমরা কখনো বাড়ির বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করিনি। আজকে শুনলাম, ভিসির বাংলোতে পানি প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না। ভিসির জন্য খাবার পাঠানো হয়েছিল সে খাবারও ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। জেলখানার কয়েদিরাও খাবার পায়, পানি পায়। খাবার বন্ধ করে দেয়া, ভিসির বাংলো কিংবা ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেয়া বা কেটে দেয়ার জন্য চেষ্টা করা- এগুলো আন্দোলনের অংশ হতে পারে না, এগুলো প্রতিহিংসামূলক। আমি ছাত্রছাত্রীদের অনুরোধ জানাব, রাজনৈতিক ক্রীড়নক হিসেবে তাদের যেন কেউ ব্যবহার না করে। আমি আশা করব, এর একটি যৌক্তিক সমাধান হবে।’

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়