প্রজ্ঞাপন জারি : সরকারি-বেসরকারি অফিস অর্ধেক জনবলে আজ থেকে

আগের সংবাদ

বৈধ লবিস্টের প্রশ্নবিদ্ধ ব্যবহার : বিএনপি-আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ > ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের

পরের সংবাদ

গণ-অভ্যুত্থান ’৬৯ স্মরণ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : বাঙালির মুক্তিসংগ্রামে ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান জাতিকে মুক্তির প্রেরণায় উদ্বুদ্ধ করেছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান স্মরণ বিশেষ তাৎপর্য বহন করে। দিবসটি উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর গতকাল সোমবার সকালে জাদুঘর মিলনায়তনে বিশেষ আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। স্বাগত বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি ডা. সারওয়ার আলী। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তি শিল্পী রফিকুল ইসলাম, পথশিশুদের নিয়ে পরিচালিত স্কুল ইউরেকার শিক্ষার্থীরা ছড়া পাঠ করে ও গণসংগীত পরিবেশন করে ‘স্বভূমি লেখক শিল্পী কেন্দ্র’।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধে জয়ী হলেও স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার যুদ্ধ এখনো শেষ হয়নি। সাম্প্রদায়িকতা, কুসংস্কার, দুর্নীতি ও জুলুমের বিরুদ্ধে আমাদের জয়ী হতে হবে। দেশকে উন্নত করতে শিক্ষায় জ্ঞানে-বিজ্ঞানে জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যুদ্ধ বর্তমান প্রজন্মের সামনে। সেই যুদ্ধেও জয়ী হওয়ার জন্য তরুণ প্রজন্মকে তৈরি হতে হবে।
তিনি বলেন, ইন্দিরা গান্ধী মুক্তিযুদ্ধে অস্ত্র ও সেনা সহায়তা দিয়েছেন, সারা বিশ্বে দৃঢ়ভাবে কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়েছেন, এক কোটি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছেন। সে কারণেই আমরা অল্প সময়ে যুদ্ধে জয়ী হতে পেরেছি। তা নাহলে হয়তো যুদ্ধে জয়ী হতে আরো সময় লাগত। কিন্তু আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত ছিল।
ডা. সারওয়ার আলী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস মাত্র ৯ মাসের যুদ্ধের ইতিহাস নয়। এর ব্যাপ্তি বিশাল। গণ-অভ্যুত্থানসহ মুক্তিযুদ্ধে উপনিত হওয়ার পূর্বের ইতিহাস তরুণ প্রজন্মকে জানাতে পাঠ্যপুস্তকে তা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা আন্দোলন ৬৯’ এর গণ-অভ্যুত্থানে চূড়ান্ত পরিণতি পেয়েছিল। এ আন্দোলনের কারণেই আইয়ুব খান পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিল,

বঙ্গবন্ধুকে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছিল এবং ইয়াহিয়া খান পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়েছিল।
চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব ২৭-২৮ জানুয়ারি : ‘জন্মের সুবর্ণে জাগো সম্প্রীতির স্বরে, মুক্তির ডাক দেয় পিতা আজও ঘরে ঘরে’- সেøাগানে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চট্টগ্রামেও শুরু হচ্ছে দুদিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে ঘিরে সারাদেশের আবৃত্তি সংগঠনগুলোর ফেডারেশন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ এ আয়োজন করেছে।
গতকাল সোমবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পরিষদের চট্টগ্রাম অঞ্চলের যুগ্ম সম্পাদক রাশেদ হাসান। তিনি বলেন, আগামী বৃহস্পতি ও শুক্রবার (২৭ ও ২৮ জানুয়ারি) দুদিনব্যাপী আবৃত্তি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। সারাদেশ থেকে ৬৪টি জেলার প্রায় চার হাজার আবৃত্তিশিল্পী ও সংগঠক এ উৎসবে অংশ নেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় আবৃত্তি উৎসব’ ও ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব পদক’ প্রদান অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন। রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে (অনলাইন) বিশেষ অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি এবং সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি।
২৭ জানুয়ারি সকাল ১০টায় আবৃত্তিশিল্পীরা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পরিচালিত অনলাইন উদ্বোধনী আয়োজনে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষের মাধ্যমে যুক্ত হবেন। এছাড়া অনলাইনে উদ্বোধনী আয়োজনে দেশের সব জেলার আবৃত্তি শিল্পী ও সংগঠকরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের মাধ্যমে অনলাইনে যোগদান করবেন। ২৮ জানুয়ারি বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদভুক্ত চট্টগ্রামের আবৃত্তি সংগঠনগুলো আবৃত্তি পরিবেশনায় অংশগ্রহণ করবেন।
বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাংগঠনিক সম্পাদক দেবাশিস রুদ্র জানান, চট্টগ্রাম থেকে এই উৎসবে তিনজন গুণী শিল্পীকে বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি স্মারক প্রদান করা হবে। তারা হলেন- মৃণাল সরকার (মরণোত্তর), রনজিত রক্ষিত (মরণোত্তর) এবং রাশেদ হাসান। চট্টগ্রাম অঞ্চলের (চট্টগ্রাম, ফেনী, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, কক্সবাজার) সদস্যভুক্ত প্রতিনিধিত্বশীল আবৃত্তি সংগঠনগুলোর প্রায় ৫৫০ জন আবৃত্তি শিল্পী ও সংগঠক নিজ নিজ জেলায় এ উৎসবে অংশগ্রহণ করবেন।
আয়োজকরা জানান, প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ প্রবর্তিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব জাতীয় আবৃত্তি পদক প্রদান করা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে ২০২০ সালের জন্য গোলাম মুস্তাফা (মরণোত্তর), ২০২১ সালের জন্য সৈয়দ হাসান ইমাম ও আশরাফুল আলম এবং ২০২২ সালের জন্য জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, কাজী মদিনা ও ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়কে এ পদক প্রদান করা হবে। এরপর প্রতিবছর ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে এ পদক দেয়া হবে। এছাড়াও আবৃত্তি শিল্পের বিকাশ ও অবদানের জন্য ৫০ জন আবৃত্তিকার ও ৫টি প্রতিষ্ঠানকে বঙ্গবন্ধু আবৃত্তি স্মারক প্রদান করা হবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের নেতারা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়