প্রজ্ঞাপন জারি : সরকারি-বেসরকারি অফিস অর্ধেক জনবলে আজ থেকে

আগের সংবাদ

বৈধ লবিস্টের প্রশ্নবিদ্ধ ব্যবহার : বিএনপি-আওয়ামী লীগ পাল্টাপাল্টি অভিযোগ > ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের

পরের সংবাদ

অন্ত্রে রক্তক্ষরণ বন্ধ : শিগগির বাসায় যাবেন খালেদা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৫, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর
এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার অন্ত্রে রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়েছে,
শরীরের অন্যান্য জটিলতা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। পাশাপাশি করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতলে থাকারও পরিবেশ নেই। সব মিলে খুব শিগগিরই তাকে হাসপাতাল থেকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দেয়ার চিন্তা করছেন চিকিৎসরা। বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানায়, টানা আড়াই মাস হাসপাতালে থাকার পর আর হাসপাতালে থাকতে চাইছেন না খালেদা জিয়া। বাড়ি ফিরতে অস্থির হয়ে উঠেছেন তিনি। এ কারণেই চিকিৎসক বোর্ড দফায় দফায় বৈঠক করছেন। কোনো প্রক্রিয়ায় বাসায় রেখে হাসপতালের আদলে চিকিৎসা দেয়া যায় তা নিয়ে চলছে পরিকল্পনা। জানতে চাইলে খালেদা জিয়ার চিকিৎসক বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন ভোরের কাগজকে বলেন, এ বিষয়ে আলোচনা চলছে। চিকিৎসার বিষয়টি অত্যন্ত ‘সেনসেটিভ’। বোর্ডের সিদ্ধান্ত কি হয় তার ওপর নির্ভর করবে কবে নাগাদ তাকে (খালেদা জিয়া) বাড়ি নেয়া হবে। তবে দু’এক দিনের মধ্যেই খালেদাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হবে বলেও সূত্র নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, চিকিৎসক বোর্ডের সদস্যরা মনে করছেন করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে রাখা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তার শারীরিক অবস্থার খুব বেশি উন্নতি না হলেও রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়েছে। স্বাভাবিক খাবারও খেতে পারছেন; একা উঠে বসতে পারছেন। ফলে বাসায় রেখে আপাতত চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। গত ৯ জানুয়ারি খালেদাকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। এরপর থেকেই তিনি বাসায় ফিরতে চাইছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতেই তাকে বাসায় নেয়ার চিন্তা করেন চিকিৎসকরা।
এর মধ্যেই গত ১৫ জানুয়ারি তার গৃহকর্মী ফাতেমা করোনায় আক্রান্ত হলে চিকিৎসকরা সিদ্ধান্ত নেন ফাতেমার করোনা নেগেটিভ হওয়ার পরই বাড়িতে নেয়া হবে খালেদা জিয়াকে। গত ১৬ জানুয়ারি এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনা ব্লকের ৬০২৪ কেবিনে ভর্তি করা হয় ফাতেমাকে। তার করোনা উপসর্গ এখন তেমন একটা নেই। তাই দুই-একদিনের মধ্যেই তার করোনার নেগেটিভ রিপোর্ট পাওয়া যেতে পারে।
এদিকে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অনেকটা উন্নতি ঘটায় তার পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান শিথি ও নাতনি জাহিয়া রহমান ইতোমধ্যে লন্ডনে চলে গেছেন। নাতনি জাহিয়া ১৫ জানুয়ারি ও পুত্রবধূ শর্মিলা ১৬ জানুয়ারি লন্ডনে চলে যান।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়