নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে রড মিস্ত্রির মৃত্যু

আগের সংবাদ

ওমিক্রনে ঝুঁকি বাড়ছে শিশুদের : রোগী বেড়েছে ৫ থেকে ৬ গুণ, উপসর্গ নিয়েও হাসপাতালে ভিড় করছেন রোগীরা

পরের সংবাদ

সেই চার পরিবার বুঝে পেল প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর : দৌলতপুর

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৪, ২০২২ , ১:১১ পূর্বাহ্ণ

এস আর সেলিম, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) থেকে : দৌলতপুর উপজেলায় অবশেষে তালিকাভুক্ত সেই চার গৃহহীন পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর বুঝে পেয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের উদাসীনতায় নির্মাণের ছয় মাসেও সম্পন্ন প্রস্তুত ওই ঘরগুলো তালিকাভুক্তদের হস্তান্তর না করে ফেলে রাখা হয়েছিল। এর ফলে এসব ঘর নষ্ট হওয়ার উপক্রম হওয়ায় গৃহহীন পরিবারগুলোর মাঝে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। গত শুক্রবার পরিবারগুলোকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের চাবি তুলে দেয়া হয়।
জানা যায়, গত বছর জুলাইয়ের প্রথমদিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির তত্ত্বাবধানে উপজেলার মথুরাপুর বড় বাজারসংলগ্ন দর্গাতলা গ্রামে নির্মাণ করা হয় চার গৃহহীন পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ওই আশ্রয়স্থল। অন্যদিকে প্রায় একই সঙ্গে নির্মিত পাশের হোসেনাবাদ এলাকায়ও এই প্রকল্পের আওতাভুক্ত ১৫টি ঘরের মধ্যে একটি ঘরের জায়গা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। এ কারণেই নির্মাণসম্পন্ন অপর চারটি বাড়ির বরাদ্দ ঝুলিয়ে রাখে স্থানীয় প্রশাসন। অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থাকায় সরকারি ওই সম্পদ দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। বাড়িগুলো অযতেœ পড়ে থাকলেও এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের কোনো নজরদারি দেখা যায়নি। এ নিয়ে ভোরের কাগজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর বের হলে প্রশাসনের কর্মকর্তারা নড়েচড়ে বসেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আব্দুল হান্নান জানান, প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি প্রকল্পটির সব স্থাপনা বাস্তবায়ন সম্পন্ন করেছে ছয় মাস আগে। যার হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দায়িত্বে রয়েছে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের উপজেলা টাস্ক ফোর্স। পিআইও বলেন, আমার দায়িত্ব ছিল নির্ধারিত সময়ের ভেতর বাড়িগুলো প্রস্তুত করে দেয়া, সেই অনুযায়ী প্রস্তুত করে দেয়া হয়। তবে একটি বাড়ির বিষয়ে কিছুটা আইনি জটিলতা থাকায় অন্যগুলো বরাদ্দে বিলম্বিত হচ্ছিল বলে শুনেছি। গত শুক্রবার তালিকাভুক্ত চার পরিবারকে তাদের জন্য বরাদ্দকৃত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের বাড়ি বুঝিয়ে দেয়া হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার তাদের হাতে এসব বাড়ির চাবি তুলে দেন। এ সময় সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফরোজ শাহিন খসরু, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আব্দুল হান্নান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাক্কির আহমেদসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। নতুন বাড়িপ্রাপ্তরা হলেন- গাড়িচালক পলাশ হোসেন, হোসেনাবাদ কান্দিরপাড়ার রেহেনা খাতুন, মথুরাপুরের জাহানারা বেগম ও ফারাকপুর ভাঙ্গাপাড়ার বাদল হোসেন। নতুন বাড়িতে ওঠার পর গৃহহীন অসহায় পরিবারগুলো যেন খুশিতে আত্মহারা। জমিসহ ঘর উপহার দিয়ে হতাশাগ্রস্ত জীবনযাপন থেকে মুক্ত করে দেয়ায় তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী উপহারের বাড়ি হস্তান্তর প্রক্রিয়ার দায়িত্বে থাকা দৌলতপুর উপজেলা টাস্ক ফোর্সের সদস্য সচিব, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আফরোজ শাহিন খসরু বলেন, একটি বাড়িতে ভূমিসংক্রান্ত আইনি জটিলতা দেখা দিয়েছিল। পরে ভূমি মন্ত্রণালয়ে লিখিতভাবে অবগত করে সেটি সমাধান করা হয়। তা না হলে আগের এডিসির সময়েই পরিবারগুলোকে একসঙ্গে ঘরে তুলে দেয়া হতো। ওই একটি বাড়ির জায়গার মালিকানা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় এত দিন অন্যদেরও অপেক্ষা করতে হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়