নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে রড মিস্ত্রির মৃত্যু

আগের সংবাদ

ওমিক্রনে ঝুঁকি বাড়ছে শিশুদের : রোগী বেড়েছে ৫ থেকে ৬ গুণ, উপসর্গ নিয়েও হাসপাতালে ভিড় করছেন রোগীরা

পরের সংবাদ

যাত্রী কল্যাণ সমিতি > গত বছর সড়কে ৫৬২৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৭৮০৯ : নৌপথে নিহত ৩১১, রেলে ৩৯৬ জন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ২০২১ সালে মহামারি করোনার সংক্রমণ রোধে লকডাউনের কারণে ৮৫ দিন গণপরিবহন বন্ধ থাকার পরও ব্যাপকহারে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ৫ হাজার ৬২৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ৮০৯ জন নিহত ও ৯ হাজার ৩৯ জন আহত হয়েছেন। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির বার্ষিক সড়ক দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
গতকাল রবিবার সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করেন সংগঠনের মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। দুর্ঘটনা ঘটার ১৬টি কারণ এবং প্রতিরোধে ১২টি সুপারিশ তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫ হাজার ৬২৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ হাজার ৮০৯ জন নিহত ও ৯ হাজার ৩৯ জন আহত হয়েছেন। একই সময় রেলপথে ৪০২টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩৯৬ জন ও আহত হয়েছেন ১৩৪ জন। নৌপথে ১৮২টি দুর্ঘটনায় নিহত ৩১১ জন ও আহত হয়েছেন ৫৭৮ জন। এছাড়া নিখোঁজ রয়েছেন ৫৪৪ জন। সড়ক, রেল, নৌপথে সর্বমোট ৬ হাজার ২১৩টি দুর্ঘটনায় ৮ হাজার ৫১৬ জন নিহত এবং ৯ হাজার ৭৫১ জন আহত হয়েছেন। প্রতিবেদন বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এসব দুর্ঘটনায় বার্ষিক ক্ষয়ক্ষতি জিডিপির প্রায় ১ দশমিক ৫ শতাংশ। হতাহতদের ৭৮ দশমিক ৩৯ শতাংশ ১৫ থেকে ৪৫ বছরের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী। যাত্রী কল্যাণ সমিতি জানায়, দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন ২ হাজার ৩৫০ জন চালক, ১ হাজার ৭১৫ জন পথচারী, ১ হাজার ১৭ জন পরিবহন শ্রমিক, ৪৩০ জন শিক্ষার্থী, ১১১ জন শিক্ষক, ২৩৭ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, ১ হাজার ৭৬ জন নারী, ৬৩৮ জন শিশু, ৪২ জন সাংবাদিক, ২৭ জন চিকিৎসক, ১৪ জন আইনজীবী, ১৮ জন প্রকৌশলী, ১৬১ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও ১০ জন মুক্তিযোদ্ধা। এর মধ্যে ১ হাজার ৪৩১ জন পথচারী, ২৬ জন সেনা সদস্য, ৫২ জন পুলিশ, চারজন আনসার সদস্য, পাঁচজন র‌্যাব সদস্য, ছয়জন বিজিবি সদস্য, একজন বিমানবাহিনীর সদস্য, নয়জন বীর মুক্তিযোদ্ধা, ১২ জন সাংবাদিক, ৭১৩ জন নারী, ৪৮১ জন শিশু, ৩২৯ জন শিক্ষার্থী, ৮৯ জন শিক্ষক, ১ হাজার ৮১৫ জন চালক, ৪৩১ জন পরিবহন শ্রমিক, ১৪ জন প্রকৌশলী, ১১ জন

আইনজীবী, ৮৫ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী ও ১৮ জন চিকিৎসক নিহত হয়েছেন।
দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ৩১ দশমিক ৫১ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ৩৯ দশমিক ২৯ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ২০ দশমিক ৩৪ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এছাড়াও সারাদেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ২ দশমিক ৬৬ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে ও শূন্য দশমিক ৮৭ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সড়ক দুর্ঘটনায় সর্বমোট ৭ হাজার ৭৩০টি যানবাহনের তথ্য গণমাধ্যমে পাওয়া গেছে, যার মধ্যে ৩০ দশমিক ৪২ শতাংশ ট্রাক, পিকআপ, লরি ও কাভার্ড ভ্যান, ২৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ মোটরসাইকেল, ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ বাস, ৯ দশমিক ৬৪ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা ৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৮ দশমিক ৬৮ শতাংশ ব্যাটারি চালিতরিকশা, রিকশা, ভ্যান ও ইজিবাইক, ৬ দশমিক ১৭ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়ক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে।
বুয়েট দুর্ঘটনা গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ড. হাদিউজ্জামান, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ও এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আবদুল হক, মানবাধিকারকর্মী নূর খান লিটন, নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ, সাংবাদিক মনজুরুল আলম পান্না, সংগঠনের সহসভাপতি তাওহিদুল হক লিটন সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়