নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে রড মিস্ত্রির মৃত্যু

আগের সংবাদ

ওমিক্রনে ঝুঁকি বাড়ছে শিশুদের : রোগী বেড়েছে ৫ থেকে ৬ গুণ, উপসর্গ নিয়েও হাসপাতালে ভিড় করছেন রোগীরা

পরের সংবাদ

বিয়ের কথা বলে প্রতারণা : কুড়িগ্রামের এসআইর বিরুদ্ধে পঞ্চগড়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি : কুড়িগ্রাম সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত। গতকাল রবিবার দুপুরে আদালতের বিচারক মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এসআই আব্দুল জলিল পঞ্চগড় সদর থানার সাবেক উপপরিদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি কুড়িগ্রাম সদর থানায় উপপরিদর্শক (এসআই) হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, পঞ্চগড় জেলা শহরের পূর্ব জালাসী এলাকার এক বিধবা নারী ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। সেই সাধারণ ডায়েরির তদন্ত করতে যান পঞ্চগড় সদর থানার সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিল।
তদন্তের একপর্যায়ে ওই বিধবা নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন তিনি। এরপর তিনি ভুয়া কাবিননামা করে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন ওই নারীর সঙ্গে। পরে ওই নারী কাবিননামা চাইতে গেলে উপপরিদর্শক (এসআই) জলিল বিয়ের কথা অস্বীকার করেন। পরে ভুক্তভোগী ওই নারী ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দায়িত্ব দেন। গত ২০ জানুয়ারি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল হয়। গতকাল রবিবার আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ওই উপপরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার বাদী ওই নারী জানান, ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল জমিসংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পঞ্চগড় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করতে যাই। পরে সাধারণ ডায়েরিরর তদন্ত করতে এসে জলিল আমার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। পরে ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে বিয়ের কথা বলে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়েন। পরে আমি তার কাবিননামার কপি চাইতে গেলে তিনি আমার সঙ্গে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেন। আমি এই নারীলোভী পুলিশের দ্রুত বিচার দাবি করছি। আর যাতে কোনো নারীকে এভাবে সেবা নিতে এসে পুলিশের হাতে ধর্ষণের শিকার হতে না হয়।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মেহেদী হাসান মিলন বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পঞ্চগড় সদর থানার সাবেক উপপরিদর্শক (এসআই) ও কুড়িগ্রাম সদর থানার বর্তমান উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল জলিলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়