নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে রড মিস্ত্রির মৃত্যু

আগের সংবাদ

ওমিক্রনে ঝুঁকি বাড়ছে শিশুদের : রোগী বেড়েছে ৫ থেকে ৬ গুণ, উপসর্গ নিয়েও হাসপাতালে ভিড় করছেন রোগীরা

পরের সংবাদ

বিজিএমইএ সভাপতি : শ্রমিকদের নিরাপত্তাই বড় অগ্রাধিকার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : শ্রমিকদের নিরাপত্তাই আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার। তাই, নিরাপত্তা কমিটিগুলোকে আরো শক্তিশালী এবং কার্যকর করার জন্য আমরা আইএলও’র সঙ্গে যুক্ত হয়েছি। আমাদের যৌথ উদ্যোগ শিল্পকে মহামারি সৃষ্ট নিরাপত্তা বিষয়ক ঝুঁকি ও স্বাস্থ্য সংকট কাটিয়ে উঠতে এবং অন্যান্য পেশাগত ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করবে।
গতকাল রবিবার পোশাক শিল্পের কারখানাসমূহের নিরাপত্তা কমিটির সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য আইএলও এবং বিজিএমইএর মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত অনুষ্ঠানে এর সভাপতি ফারুক হাসান এসব কথা বলেন। গুলশানে বিজিএমইএ পিআর অফিসে অনুষ্ঠিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা কর্মসূচি অব্যাহত রাখার জন্য একযোগে কাজ করতে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন আইএলও এর পোশাক শিল্পে কর্মপরিবেশ উন্নয়ন কর্মসূচির প্রধান কারিগরি উপদেষ্টা, জর্জ ফলার, বিজিএমইএর সহসভাপতি মো. নাসির উদ্দিন এবং আইএলও বাংলাদেশের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বাংলাদেশের শ্রম আইন অনুযায়ী ৫০ বা ততোধিক কর্মচারীসহ সব সংস্থার জন্য শ্রমিক এবং নিয়োগ কর্তাদের পক্ষ থেকে সমানসংখ্যক প্রতিনিধির সমন্বয়ে নিরাপত্তা কমিটি গঠন করা বাধ্যতামূলক।
নিরাপত্তা কমিটিগুলোর দায়িত্ব হচ্ছে কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন, পর্যবেক্ষণ এবং তদারকি করা। বিজিএমইএ-এর সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় ৭৫টি পোশাক কারখানার ৭০০টি নিরাপত্তা কমিটির সদস্যদের পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য, কর্মক্ষেত্রে ঝুঁকি সনাক্তকরণ এবং ঝুঁকি মূল্যায়ন, ভবন নিরাপত্তা সংস্কৃতি, অগ্নি দুর্ঘটনা ব্যবস্থাপনা এবং কোভিড-১৯ নির্দেশিকা সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
নিরাপত্তা কমিটিগুলোর প্রশিক্ষিত সদস্যরা পরবর্তী সময়ে তাদের নিজ নিজ কারখানায় প্রায় ৫০ হাজার কর্মীদের মাঝে একই বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করবেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জর্জ ফলার বলেন, নিরাপত্তা কমিটিগুলো কারখানায় নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কাজের পরিবেশ তৈরি এবং তা বজায় রাখার জন্য কারখানার ব্যবস্থাপনা পর্যায়ের কর্মকর্তারা এবং কর্মীদের একত্রিত করে। তিনি আরো বলেন, এই কমিটিগুলো সঠিকভাবে দক্ষতাসম্পন্ন হলে এবং কর্মক্ষেত্রে অনেক দুর্ঘটনা এবং পেশাগত স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়