নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে রড মিস্ত্রির মৃত্যু

আগের সংবাদ

ওমিক্রনে ঝুঁকি বাড়ছে শিশুদের : রোগী বেড়েছে ৫ থেকে ৬ গুণ, উপসর্গ নিয়েও হাসপাতালে ভিড় করছেন রোগীরা

পরের সংবাদ

দেখা নেই সূর্যের : রাজশাহীতে জেঁকে বসেছে শীত, গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, রাজশাহী : উত্তরের শহর রাজশাহীতে জেঁকে বসেছে শীত। গতকাল রবিবার দিনভর হয়েছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। গত দুদিন দেখা মেলেনি সূর্যের। এর প্রভাবে সড়কে যানবাহন চলাচলও ছিল তুলনামূলক কম। শীতে সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ ও রিকশাচালকরা।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রবিবার জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ১৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। আগের দিন শনিবার রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা ১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লেও বাতাসের কারণে শীত ছিল তীব্র। গত মঙ্গলবার রাজশাহীতে সর্বনিম্ব তাপমাত্র ছিল ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ ২২ দশমকি ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। ওই দিন সকাল ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ এবং আর সন্ধ্যা ৬টায় ছিল ৭৪ শতাংশ। আর এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় গত বৃহস্পতিবার, ৯ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটিই ছিল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এছাড়া শুক্রবার জেলায় তাপমাত্রা ছিল দ্বিতীয় সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিস জানায়, আকাশ মেঘলা থাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। ফলে ওঠেনি রোদ। গত তিন দিনে জেলায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ২ দশমিক ৭ মিলিলিটার। আর গতকাল রবিবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৪ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে আবহাওয়া অফিস। এর আগে চলতি মাসের গত ১১ জানুয়ারি রাজশাহীতে ১ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। পরদিন ১২ জানুয়ারি ১ দশমিক ৩ মিলিলিটার বৃষ্টিপাত হয়েছিল। বৃষ্টিপাতের সময় ও কিছুক্ষণ আগে তাপমাত্রা বাড়লেও বৃষ্টিপাতের পরে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা থাকে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

গতকাল রবিবার সকালে নগরীতে সরজমিন ঘুরে দেখা যায়, কুয়াশায় অন্ধকারে ঢেকে ছিল চারপাশ। এতে গাড়ির আলো জ¦ালিয়ে চলাচল করে গণপরিহন। এছাড়া বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকায় ছাতা নিয়েও বের হন অনেকে। সড়কে ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করেন ছাতা নিয়ে। সড়কে ব্যক্তিগত যান চলাচল ছিল বেশ কম। বেলা বাড়লেও রোদ না ওঠায় বন্ধই ছিল অনেক দোকানপাট।
এ বিষয়ে রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক আব্দুস সালাম ভোরের কাগজকে বলেন, তাপমাত্রা ওঠানামা করলেও মেঘলা রয়েছে আকাশ। এছাড়া রোদ না উঠে বাতাস থাকায় শীতের প্রকোপ তীব্র হয়েছে। একই সঙ্গে দিনভর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি নতুন মাত্রা দিয়েছে শীতের। রাজশাহীতে যে কোনো সময় হতে পারে বৃষ্টি। তবে কী পরিমাণ হবে, সেটা বলা যাচ্ছে না। মেঘ কেটে গেলে উন্নতি হতে পারে রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের আবহাওয়া পরিস্থিতির।
এদিকে শীতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছেন দুর্ভোগে। কাহিল হয়ে পড়েছে পথের ধারে থাকা ছিন্নমূল জনগোষ্ঠী। অবশ্য সরকারি-বেসরকারিভাবে শুরু হয়েছে শীতবস্ত্র বিতরণ কার্যক্রম। আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল এবং রাজশাহী প্রেস ক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদ সভাপতি সাইদুর রহমানসহ বিশিষ্টজনদের বিশেষ উদ্যোগে শুরু হয়েছে এ কার্যক্রম। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পৌঁছে দেয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের শীতবস্ত্র।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, কেউ যাতে শীতে কষ্টে না থাকে, সেদিকে খেয়াল রেখেই শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক বলেন, আগামীতেও এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তবে এ শীত ও করোনা সংকটকালে অসহায়দের সহায়তায় বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়