নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে রড মিস্ত্রির মৃত্যু

আগের সংবাদ

ওমিক্রনে ঝুঁকি বাড়ছে শিশুদের : রোগী বেড়েছে ৫ থেকে ৬ গুণ, উপসর্গ নিয়েও হাসপাতালে ভিড় করছেন রোগীরা

পরের সংবাদ

কনকনে শীত উপেক্ষা করে ধান রোপণে ব্যস্ত চাষিরা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

বদলগাছী (নওগাঁ) প্রতিনিধি : উত্তরাঞ্চলের শস্যভাণ্ডার হিসেবে খ্যাত বদলগাছী উপজেলায় ইরি-বোরো আবাদে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। প্রচণ্ড শীত আর ঘন কুয়াশা কাবু করতে পারেনি তাদের। তবে চারা রোপণ ব্যাহত হচ্ছে খানিকটা। আবহাওয়া ভালো হওয়ার অপেক্ষা করছেন চাষিরা। এ বছর ধানের দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকদের মাঝে কিছুটা উচ্ছ¡াস দেখা গেছে। এদিকে মাঘ মাসের শুরু থেকেই শীতের তীব্রতা বেড়ে গেছে। দিনভর প্রচণ্ড শীত। ঘর থেকে বের হওয়া যায় না। ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীত উপেক্ষা করে কৃষকরা ইরি-বোরো ধান চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছেন।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, কেউ কেউ তীব্র শীত উপেক্ষা করে বীজতলা থেকে চারা তুলে জমা করছেন। আবার কেউ পাওয়ার টিলার দিয়ে হাল বয়ে জমি তৈরি করছেন। আবার কোথাও কোথাও কৃষকরা তাদের তৈরিকৃত জমিতে ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণ করছেন। কোথাও গভীর অথবা অগভীর নলকূপ দিয়ে পুরোদমে চলছে জমিতে সেঁচকাজ।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ৮টি ইউনিয়নে চলতি বোরো মৌসুমে ১৩ হাজার ৭৮৫ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গত বছর ১২ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এ বছর ধান রোপণের জন্য প্রায় ১৩শ হেক্টর জমিতে বীজতলা প্রস্তুত করা হয়েছে। আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে শতভাগ জমিতে বোরো ধানের রোপণ কাজ সম্পন্ন হবে। গত কয়েকদিন থেকে সূর্যের দেখা মিলছে না। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হালকা বাতাসে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। প্রচণ্ড শীতে জবুথবু হয়ে পড়েছেন মানুষ ও গৃহপালিত পশু।
এ ব্যাপারে সদর ইউনিয়নের গাবনা গ্রামের কৃষক মো. রমজান আলি বলেন, এ বছর আমি ১০ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করার জন্য হালচাষ করে প্রস্তুত করেছি। এখন বীজতলা থেকে চারা উত্তোলন করে ৩-৪ দিনের মধ্যে রোপণের চেষ্টা করব। একই ইউনিয়নের বড় কাবলা গ্রামের কৃষক সোহেল রানা বলেন, আগাম ধান রোপণ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। শুরুর দিকে শ্রমিক সংকট থাকে না। ধানের রোগ বালাই কম থাকে। তাই আমি প্রতি বছর আগাম ইরি-বোরো ধানের চারা রোপণ করে থাকি।
এ ব্যাপারে বালুভরা ইউনিয়নের ধান চাষি মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, মাঠে আমার সাড়ে চার বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপণ আগামী সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে। গভীর নলকূপের পানি পাওয়ায় বোরো ধানের জমি প্রস্তুত হওয়ায় এখন এলাকায় কৃষি শ্রমিকের তেমন সংকট নেই। এ বিষয়ে আধাইপুর ইউনিয়নের আধাইপুর গ্রামের কৃষক মামুন ইসলাম, শামিম, বেলাল হোসেন বলেন, আলু সরিষা ঘরে তোলার পর, আমরা বোরো ধান রোপণ করছি। অন্যান্য এলাকার চাইতে আমাদের এলাকার বীজতলায় আগেই চারা বড় হয়ে যায়। ফলে সবার আগেই আমরা বোরো ধান রোপণ করে থাকি। এতে ধানও আগে পাওয়া যায়। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসান আলি বলেন, উপজেলার কোলা, মিঠাপুর, বিলাশবাড়ী ও পাহাড়পুর ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকায় বোরো ধান রোপণ কাজ কিছুদিনের মধ্যে শেষ হবে। আবহাওয়া জনিত কারণে প্রতিবছর বীজতলা কম বেশী নষ্ট হলেও এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বীজতলায় তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। এ বছর বোরো ধানের চারার কোনো সংকট বা ঘাটতি হবে না বলে আমার বিশ্বাস।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়