নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে রড মিস্ত্রির মৃত্যু

আগের সংবাদ

ওমিক্রনে ঝুঁকি বাড়ছে শিশুদের : রোগী বেড়েছে ৫ থেকে ৬ গুণ, উপসর্গ নিয়েও হাসপাতালে ভিড় করছেন রোগীরা

পরের সংবাদ

উল্লাপাড়ার সড়াতৈল প্রাথমিক বিদ্যালয় : জরাজীর্ণ শ্রেণিকক্ষে ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৪, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : উল্লাপাড়া উপজেলার সড়াতৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরনো ভবনটি এখন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এই ভবনে দুটি শ্রেণিকক্ষ রয়েছে। এই জরাজীর্ণ শ্রেণিকক্ষে ঝুঁকি নিয়ে চলছে শিক্ষার্থীদের পাঠদান। বর্ষাকালে ঘরের টিনের চাল দিয়ে পানি পড়ে। দেয়ালের পলেস্তারা খুলে পড়ছে প্রতিদিন। এ অবস্থাতেই শিক্ষার্থীদের এই ভবনে বসে ক্লাস করতে হচ্ছে। বর্তমানে স্কুলটিতে প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাহাদৎ হোসেন মল্লিক জানান, অতি প্রাচীন এই প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্বাধীনতার পর স্থানীয়ভাবে বিদ্যানুরাগী ব্যক্তিদের সহযোগিতায় একটি টিনশেড ভবন নির্মাণ করা হয়। এই ভবনেই কম ছাত্র নিয়ে ক্লাস পরিচালনা করা হতো। ২০০৪-০৫ অর্থবছরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে এখনে একটি দুকক্ষের একতলা ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। এই ভবনে এখন প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস নেয়া হয়। ছাত্র সংখ্যা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে পুরনো ধ্বংসপ্রায় টিনশেড ভবনে নিরুপায় হয়ে অন্যান্য ক্লাস নিতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে এই ভবনটি সংস্কার অভাবে ব্যবহারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মরিচা পড়ে ভবনের টিনের চাল অনেক জায়গায় নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে বর্ষা বৃষ্টির দিনে এই ভাঙা চাল দিয়ে শ্রেণিকক্ষে পানি পড়ে। পুরনো দেয়ালের পলেস্তারা প্রতিনিয়তই খুলে পড়ছে। নষ্ট হয়ে গেছে মেঝের সলিং। এ অবস্থায় চরম ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীরা এখন এই পুরনো ভবনে ক্লাস করতে বাধ্য হচ্ছে।
প্রধান শিক্ষক আরো জানান, স্কুলের ছেলে মেয়েদের টয়লেট বহুদিন আগে ভেঙে গেছে। আপাতত টিন দিয়ে অস্থায়ীভাবে একটি টয়লেট তৈরি করে অন্যান্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরকারিভাবে ওয়াশব্লক তৈরি করা হলেও আজ পর্যন্ত সড়াতৈল স্কুলে কোনো ওয়াশব্লক নির্মাণ করা হয়নি। বিগত কয়েক বছরে স্কুল থেকে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে তাদের ধ্বংসপ্রায় ভবনটি অপসারণ করে সেখানে নতুন শ্রেণিভবন নির্মাণের জন্য শিক্ষা অধিদপ্তরে একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এখানে নতুন ভবন নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ পারভীনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি পুরনো ভবনে ক্লাস পরিচালনায় দুর্ভোগের কথা স্বীকার করে জানান, উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন শ্রেণি ভবন নির্মাণের জন্য শিক্ষা অধিদপ্তরে তালিকা পাঠানো হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়