বিজিবির অভিযান : কক্সবাজারে উদ্ধার ৩০ কোটি টাকার আইস

আগের সংবাদ

আলোচনার কেন্দ্রে ইসি আইন

পরের সংবাদ

নেই প্রশাসনের নজরদারি : মনপুরায় নিষেধাজ্ঞা না মেনে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে জাটকা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২৩, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

সোহাগ মাহামুদ সৈকত, মনপুরা (ভোলা) থেকে : মনপুরায় নিষেধাজ্ঞা না মেনে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে জাটকা ইলিশ। নিষেধাজ্ঞার সময়ে আট মাস জাটকা আহরণ, পরিবহন, বিক্রি ও মজুত করা নিষিদ্ধ হলেও মনপুরায় মাছের প্রায় সব আড়ত এবং হাটবাজারে জাটকা বিক্রি হচ্ছে। মৎস্য বিভাগের নিয়মিত অভিযান না থাকায় এমনটা হচ্ছে বলে দাবি সচেতন মহলের।
এদিকে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিদিন হাটবাজারে অবাধে জাটকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। ভোর না হতেই শুরু হয় বেচাকেনা। দূর-দূরান্ত থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও এসে আড়তদারদের কাছ থেকে জাটকা ইলিশ কিনে স্থানীয় হাটবাজারে বিক্রি করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মনপুরা সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে প্রতিনিয়ত জেলেরা জাটকা ধরে আড়ত ও হাটবাজারে বিক্রি করছেন। তাছাড়া লঞ্চযোগে ঢাকা, নোয়াখালী, ভোলা ও বরিশালের বাজারে প্রতিনিয়ত ইলিশের পাশাপাশি জাটকা নিয়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ীরা।
উপজেলার হাজির হাট বাজার, রামনেওয়াজ বাজার, ফকির হাট, বাংলা বাজার, মাস্টার হাট, কোরালিয়া বাজারসহ ছোট-বড় হাটবাজারে এই জাটকা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য বিভাগ বা প্রশাসনের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। স্থানীয় ব্যবসায়ী ফারুক তালুকদার জানান, মনপুরা মেঘনা নদীতে জাটকা শিকার করে স্থানীয় আড়ত ও হাটবাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রতিবছর প্রশাসন কিছু কিছু অভিযান চালালেও এ বছর এখনো তেমন অভিযান চোখে পড়েনি। দ্রুত জাটকা নিধন বন্ধের দাবি জানান তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলেরা জানান, এবার এখনো অভিযান শুরু হয়নি। মাছ শিকার ছাড়া বিকল্প কোনো কাজ না থাকার কারণে বাধ্য হয়েই তাদের জাটকা শিকার করতে হচ্ছে।
মনপুরা মৎস্য ঘাটের আড়তদার লিটন হাওলাদার বলেন, অন্যান্য মাছ ব্যবসায়ীরাও জাটকা বিক্রি করছেন। প্রশাসন যদি জাটকা ধরা বন্ধ করে দিতে পারে তাহলে বিক্রিও বন্ধ হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ভিক্টর বাইন জানান, মৎস্যসম্পদ রক্ষায় আমাদের জাটকাবিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে। প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা সম্ভব না হলেও উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে জাটকা নিধন প্রতিরোধের চেষ্টা করছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম মিঞা বলেন, অবাদে জাটকা বিক্রির তথ্য আমাদের কাছে রয়েছে। মৎস্য অফিসে জনবল সংকটের কারণে নিয়মিত অভিযান দেয়া যাচ্ছে না। তবে নিয়মিত অভিযানের ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া আছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়