ক্ষমা চেয়েছেন চীনা নাগরিক, টাকা চাননি সার্জেন্ট

আগের সংবাদ

জাতীয় পুরুষ বেসবল শুরু

পরের সংবাদ

২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাস : ১৭২ কোটি টাকা রাজস্ব ঘাটতি ভোমরা বন্দরে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে সাতক্ষীরার ভোমরা শুল্ক স্টেশনে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ ১৭২ কোটি টাকার বেশি। যা লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ কম। বন্দরসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের পরিস্থিতি মন্দা হওয়ায় কাক্সিক্ষত রাজস্ব অর্জন সম্ভব হয়নি।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব শাখা থেকে জানা যায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কর্তৃক চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ভোমরা বন্দরে রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৫৪৯ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এই সময়ের মধ্যে বন্দরটিতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ৩৭৬ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে জুলাইয়ে ৪৪ কোটি ৫২ লাখ, আগস্টে ৫৭ কোটি ৬৩ লাখ, সেপ্টেম্বরে ৭৩ কোটি ৩০ লাখ, অক্টোবরে ৭১ কোটি ২৮ লাখ, নভেম্বরে ৭৪ কোটি ২৮ লাখ এবং জানুয়ারিতে ৫৫ কোটি ২৭ লাখ টাকা। উল্লিখিত পরিমাণ রাজস্ব আদায়ে এনবিআরের নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৭২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। সূত্রটি জানায়, গত ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথমার্ধে রাজস্ব আয় হয়েছিল ৩৯৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
এ ব্যাপারে ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী এসোসিয়েশনের আহ্বায়ক শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন জানান, রাজস্ব ঘাটতির অন্যতম কারণ হচ্ছে এ বন্দর দিয়ে ব্যবসায়ীরা তাদের পছন্দমতো পণ্য আমদানি করতে পারেন না। তিনি বলেন, পূর্ণাঙ্গ বন্দর হলেও সব ধরনের পণ্য আমদানি করার অনুমতি নেই ভোমরা বন্দরে। ফলে আমদানিকারকরা তাদের সুবিধামতো পণ্য আনতে অন্য বন্দর ব্যবহার করছেন। অথচ ভোমরা বন্দর থেকে কলকাতার যোগাযোগ ব্যবস্থা যথেষ্ট ভালো। এছাড়াও কলকাতার সঙ্গে বন্দরের দূরত্ব অপেক্ষাকৃত কম হলেও এ বন্দর ব্যবহার করে ব্যবসায়ীরা সব ধরনের পণ্য আমদানি করতে পারেন না। ব্যবসায়ীরা যদি সব ধরনের পণ্য আমদানি করতে পারেন, তাহলে এ বন্দরের রাজস্ব আয় অনেকাংশে বেড়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বে থাকা কাস্টমসের বিভাগীয় সহকারী কমিশনার আমীর মামুন জানান, চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই মূলত এ বন্দরের ব্যবসা-বাণিজ্য মন্দা যাচ্ছে। এছাড়া করোনার প্রভাবও রয়েছে। ফলে রাজস্ব আয় কমে গেছে। তবে অর্থবছরের এখনো ৬ মাস বাকি রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, ব্যবসা-বাণিজ্যের অবস্থা সামনের দিনগুলোতে ইতিবাচক অবস্থার দিকে পরিচালিত হবে। এমনটা হলে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে রাজস্ব ঘাটতির পরিমাণ কমে আসবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে ভোমরা শুল্ক স্টেশনের জন্য ১ হাজার ১৩৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত ২০২০-২১ অর্থবছরের তুলনায় ১৩৩ কোটি ১৫ লাখ টাকা বেশি। গত ২০২০-২১ অর্থবছরে ভোমরা বন্দরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ১ হাজার ৪ কোটি ৩ লাখ টাকা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়