ক্ষমা চেয়েছেন চীনা নাগরিক, টাকা চাননি সার্জেন্ট

আগের সংবাদ

জাতীয় পুরুষ বেসবল শুরু

পরের সংবাদ

১১ বছর পর ভোট উৎসব আনোয়ারার জুঁইদন্ডিতে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ারা (চট্টগ্রাম) : সীমানা নিয়ে মামলার কারণে ২০১১ সালের ১৪ জুলাই স্থগিত হওয়ার পর দীর্ঘ ১১ বছর পর আনোয়ারা উপজেলার জুঁইদন্ডি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হতে যাচ্ছে ৩১ জানুয়ারি। নির্বাচনী প্রচারে ইউনিয়নজুড়ে উৎসবের আমেজ চলছে। গত বৃহস্পতিবার সরজমিন দেখা যায়, প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে গণসংযোগ চালিয়ে বিভিন্ন প্রতিশ্রæতি দিচ্ছেন। ইউনিয়নের হাটবাজার, চায়ের দোকানে চলছে নির্বাচনী আলোচনা। চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্যরাও রাত-দিন ভোটারদের বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভোট চাইছেন। প্রতিটি গ্রাম ব্যানার, পোস্টার ও লিফলেটে ছেয়ে গেছে। সব মিলিয়ে ১১ বছর পর চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন ভোটাররা।
জানা যায়, নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ১০ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৪৫ জন প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। তবে বিএনপির কোনো প্রার্থী না থাকলেও লড়াই হবে দ্বিমুখী। আ’লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. ইদ্রীস (নৌকা প্রতীক) ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাশেদুল ইসলাম চৌধুরী (অটোরিকশা প্রতীক) প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী। এছাড়াও মাঠে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল হোসেন (আনারস মার্কা), রেহেনা আকতার (ঘোড়া মার্কা)। ভোটের মাঠে লড়াইয়ে এগিয়ে রয়েছেন মো. ইদ্রীস ও রাশেদুল ইসলাম। নৌকার প্রার্থী গ্রামে গ্রামে নির্বাচনী সভা করে সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নের কথা তুলে ধরছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী রাশেদুল ইসলামের দাবি, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু ভোট হলে জনগণ তাকে নির্বাচিত করবে। নতুন ভোটার নেজাম উদ্দিন বলেন, অনেক বছর পর নির্বাচন পেয়ে আমরা খুশি। জীবনের প্রথম ভোট ইভিএমে দেব, তাই আনন্দ অন্যরকম। তবে যার মাধ্যমে এলাকার উন্নয়ন হবে এ রকম ব্যক্তি যেন নির্বাচিত হয় এই প্রত্যাশা করছি। রাশেদুল ইসলাম বলেন, প্রতীক পাওয়ার পর থেকে আমি সাধারণ মানুষের কাছে যাচ্ছি। কিছু এলাকায় আমার প্রচারে বাধা দিচ্ছে। প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু নির্বাচন দাবি করছি।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইদ্রীস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচন না হওয়ায় জুঁইদন্ডি ইউনিয়ন উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত ছিল। আমি নির্বাচিত হলে এই ইউনিয়নকে উপজেলায় একটি মডেল ইউনিয়নে রূপান্তর করব। তিনি আরো বলেন, প্রতিপক্ষ বিএনপি-জামায়াতের সহযোগিতায় আমার লোকজনকে হুমকি দিচ্ছে এবং কয়েকটি ভোটকেন্দ্র দখল করার পাঁয়তারা করছে।
উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল শুক্কুর বলেন, আমি ইউনিয়নের সব কয়টি কেন্দ্র ঘুরে দেখেছি। নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে সব ধরনের প্রস্ততি গ্রহণ করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়