ক্ষমা চেয়েছেন চীনা নাগরিক, টাকা চাননি সার্জেন্ট

আগের সংবাদ

জাতীয় পুরুষ বেসবল শুরু

পরের সংবাদ

বার্সার বিদায়ের রাতে ফাইনালে লিভারপুল

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : আর্সেনালকে ২-০ গোলে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে লিভারপুল। গতকাল রাতে ইএফএল কাপের সেমিফাইনালের লড়াইয়ের ফিরতি লেগে এমিরেটাস স্টেডিয়ামে আর্সেনালের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল জার্গেন ক্লপের শিষ্যরা। অ্যানফিল্ডে প্রথম লেগ গোলশূন্য ড্র হয়েছিল। ম্যাচের দুই অর্ধেই লিভারপুলের হয়ে দুটি গোল করেন পতুর্গিজ ফরোয়ার্ড দিয়েগো জটা। শেষ চারে টটেনহ্যাম হটস্পারকে হারিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল টমাস টুখেলের দল। প্রথম লেগে বেশির ভাগ সময় একজন কম নিয়ে খেলেও লিভারপুলকে রুখে দেয়া আর্সেনাল এবার সুযোগ পেয়েছিল শুরুতেই। ম্যাচের ষষ্ঠ মিনিটেই আলেসান্দ্রো লেকাজেতের শর্ট ক্রসবারে লেগে ফিরে এসেছিল। তারপর থেকে আর্সেনাল কোনো গোল করতে পারেনি। অন্যদিকে ম্যাচের ১৯তম মিনিটে অ্যালেকজান্ডার-আর্নল্ডের বাড়ানো বলে ডি-বক্সের ভিতর থেকে ডান পায়ের শর্ট করে গোল লিভারপুলের পক্ষে গোল এনে দেয় দিয়েগো জটা। দ্বিতীয়ার্ধেও সেই অ্যালেকজান্ডার-আর্নল্ডের বাড়ানো বল ৭৭তম মিনিটে ক্রস বুক দিয়ে নামিয়ে ডি-বক্সে ঢুকে চিপ শর্টে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড জটা। এই গোলে মাঠ রেফারি অফসাইডের সিগন্যাল দিলেও ভিএআরের সিদ্ধান্তে জিতে যায় দিয়েগো জটা। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে লাল কার্ড নিয়ে মাঠ ত্যাগ করেছে আর্সেনাল ডিফেন্ডার টমাস পার্টির। পুরো ম্যাচজুড়ে দাপট দেখিয়ে পর্তুগিজ ফরোয়ার্ডের নৈপুণ্যে ২-০ গোলে আর্সেনালকে হারিয়ে লিগ কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করল লিভারপুল। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি ওয়েম্বলির ফাইনালে চেলসির মুখোমুখি হবে লিভারপুল।
এদিকে স্প্যানিশ কোপা দেল রে কাপে বার্সেলোনাকে হারিয়ে স্প্যানিশ কোপা দেল রে’র কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছে অ্যাতলেটিকো বিলবাও। গতকাল রাতে সান মামেসে এক লেগের শেষ ষোলোয় ৩-২ গোলে জিতেছে স্বাগতিকরা। ম্যাচের শুরু থেকেই বার্সা সুবিধা করতে পারছিল না। ম্যাচের ২ মিনিটে দুর্দান্ত বাঁকানো শটে বিলবাওকে এগিয়ে দেন মুনিয়াইন। ২০ মিনিটে বক্সের মাথা থেকে নেয়া শটে বার্সাকে সমতায় ফেরান সদ্য যোগ দেয়া ফেরান তোরেস। বার্সার হয়ে এটা তার প্রথম গোল। কিন্তু ৮৬ মিনিটে ইনগিও মার্তিনেজের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারেননি বার্সার ৩৪ বছর বয়সি অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার জেরার্ড পিকে। বার্সার জালে গোল করে বিলবাওকে আবারো এগিয়ে দেন মার্টিনেজ। যোগ করা সময়ের ৩ মিনিটে পেদ্রির গোলে আবারো সমতায় ফিরে ম্যাচটা অতিরিক্ত সময়ে টেনে নেয় বার্সা। অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের বিপক্ষে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যোগ করা সময়ের ৫ মিনিটের মাথায়ও ম্যাচ ২-২ গোলে অমীমাংসিত। এমন সময় চোট পেয়ে বসেন আনসু ফাতি। পরে অতিরিক্ত সময়ে বিলবাওয়ের হয়ে নিজের দ্বিতীয় গোলে জয় নিশ্চিত করেন মুনিয়াইন। কোপা দেল রে থেকে বিদায়ের ফলে বার্সার জন্য মৌসুম বলতে বাকি রইল শুধু ইউরোপা লিগ ও লা লিগা। এর মধ্যে লিগে শিরোপা জয়ে পাল্লা দেয়ার মতো অবস্থায় নেই জাভির দল। শীর্ষে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ১৭ পয়েন্ট ব্যবধানে পিছিয়ে ছয়ে কাতালান ক্লাবটি। ইউরোপে দ্বিতীয় সারির ক্লাব টুর্নামেন্ট ইউরোপা লিগই এখন ভরসা। ম্যাচে বিলবাওয়ের শ্রেষ্ঠত্ব মেনে নিয়ে এই বাস্তবতাই স্মরণ করিয়ে দিলেন বার্সা কোচ জাভি, ‘ব্যর্থতা শব্দটা আমার অপছন্দ। কারণ আমরা চেষ্টা করেছি। তবে ব্যর্থ হলেও এখান থেকে শেখার আছে। এখন আমাদের জন্য বাকি রইল শুধু ইউরোপা লিগ ও লা লিগা। অ্যাথলেটিক আমাদের চেয়ে ভালো খেলেছে। তাদের অভিনন্দন। স্যান মেমেস খুব কঠিন জায়গা। বিশেষ করে অ্যাথলেটিকের এই কোচ ও দলটার বিপক্ষে।’
একই কাপের অন্য খেলায় এলচেকে ২-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে রিয়াল মাদ্রিদ। নানারকম নাটকীয়তায় ভরপুর এই ম্যাচ। এলচের মাঠে নির্ধারিত সময়ে গোল করতে পারেনি কোনো দলই। ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের ৯০ মিনিটই দুই দল ছিল গোলশূন্য। অতিরিক্ত সময়ের ১০২ মিনিটে তেতে মোরেনতেকে ফাউল করে লাল কার্ড নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে রিয়াল অধিনায়ক মার্সেলোকে। এই ফ্রি কিক থেকেই গোল করে এগিয়ে যায় এলচে। গনসালো ভের্দুর প্রথম শট রক্ষণ দেয়ালে প্রতিহত হলেও ফিরতি বলে আবার শর্ট নিয়ে বলকে জারে পাঠান তিনি। গনসালো ভের্দুর গোলে শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল এলচে।
পরে দুই বদলি খেলোয়াড়ের নৈপুণ্যে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে করিম বেনজেমা-কোর্তোয়াদের ছাড়া খেলতে নামা রিয়াল। ১০৮ মিনিটে ইসকোর গোলে রিয়াল সমতায় ফেরার পর ১১৫ মিনিটে রিয়াল গোল পায় বদলি হয়ে নামা এডেন হ্যাজার্ডের কাছ থেকে। তিন বদলি খেলোয়াড়ের নৈপুণ্যে পাঁচ মিনিট পরই অবশ্য সমতায় ফেরে রিয়াল। বাঁ দিক থেকে ডি-বক্সের মাঝ বরাবর ক্যাসেমিরোর পাসে শর্ট নিয়ে জালে পাঠান সেবাইয়োস। বলের দিকে চোখ রেখে গোল বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়লেও ইসকো ফ্লিক করে বলের গতিপথ পাল্টে দেন এবং সেই সঙ্গে একটি সহজ গোল পেয়ে যায় রিয়াল মাদ্রিদ। আর ১১৫তম মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন হ্যাজার্ড। দাভিদ আলাবার দারুণ পাস পেয়ে বিনা বাধায় বাঁ দিক দিয়ে হ্যাজার্ড ডি-বক্সে ঢুকে পড়তে যাচ্ছিলেন। বিপদ বুঝে গোলরক্ষক দ্রুত এগিয়ে আসলে তাকে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে ঠিকানা খুঁজে বের করেন বেলজিয়াম ফরোয়ার্ড। শুরু থেকেই যেখানে নাটকীয়তা ম্যাচের শেষটাও হয়েছে বিতর্ক দিয়ে। শেষ মিনিটে রিয়ালের জালে বল পাঠিয়েও ফাউলের অপরাধে গোলটি বাতিল করে দিয়েছিলেন রেফারি। অতিরিক্ত সময়ের একদম শেষ মুহূর্তে রেফারির সঙ্গে বাজে আচরণ করে লাল কার্ডও দেখতে হয়েছে এলচে উইঙ্গার পেরে মিলা’র এর। দুটি লাল কার্ডের এ ম্যাচে ১০ জন নিয়েও লড়াই করে জয় তুলে নেয় কার্লো আনচেলত্তির দল। গত অক্টোবরে এবারের লা লিগায় প্রথম দেখায় এলচের মাঠে একই ব্যবধানে জিতেছিল রিয়াল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়