ক্ষমা চেয়েছেন চীনা নাগরিক, টাকা চাননি সার্জেন্ট

আগের সংবাদ

জাতীয় পুরুষ বেসবল শুরু

পরের সংবাদ

‘বাংলাদেশের বেশকিছু কাজ ভালো লেগেছে’

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আগামীকাল পর্দা নামছে ‘২০তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’র। ‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ প্রতিপাদ্যে এ উৎসব চলে টানা ৯ দিন। এবারের উৎসবে বাংলাদেশসহ ৭০টি দেশের মোট ২২৫টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও উৎসবে শামিল হয়েছিলেন নানান দেশের চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। কেন্দ্রীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তন প্রাঙ্গণে
কথা হয় ভারতীয় ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল প্রোগ্রামার ও কিউরেটর
অঙ্কিত বাগচীর সঙ্গে। সাক্ষাৎকার : শ্রাবণী হালদার
আপনি তো বেশ কয়েকটি দেশের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে অংশ নিয়েছেন। প্রথমবার বাংলাদেশের উৎসবে এলেন। কেমন লাগছে?
ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে কিউরেটর হিসেবে এর আগে বাংলাদেশের বেশ কিছু চলচ্চিত্র উৎসবের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার সুযোগ হয়েছে, কিন্তু কখনোই এদেশে আসার সুযোগ হয়নি। এই প্রথম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সুবাদে প্রথম বাংলাদেশে আসা। অনেক মানুষের মতো আমারও শিকড় গাঁথা রয়েছে এই বাংলাদেশে, তাই এই দেশ আমার কাছে অন্যরকম আবেগ। অন্য কোনো দেশের সঙ্গে এই দেশের তুলনা চলে না।
ইন্ডিয়া থেকে কয়টি সিনেমা প্রদর্শিত
হয়েছে এবার?
ভারতবর্ষের থেকে ৩৭টি ছবি দেখানো হচ্ছে এবং এর মধ্যে বেশ কিছু অন্যদেশের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় তৈরি।
উৎসবে এদেশের কিছু সিনেমা দেখেছেন নিশ্চয়? কোন সিনেমাগুলো ভালো লেগেছে? এছাড়া আর কোন সিনেমাগুলোর নাম বিশেষভাবে উল্লেখ করবেন?
ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রোগ্রামিং এতই সুন্দর যে অনেক ভালোর মধ্যে কিছু খুঁজে বের করা সমস্যার, তবুও আমি বাংলাদেশের বেশ কিছু কাজ দেখার চেষ্টা করলাম; তার মধ্যে কালবেলা, ঢাকা ড্রিম, বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়, লাল মোরগের ঝুঁটি, দ্য আনওয়ান্টেড টুইন বেশ ভালো লেগেছে। এছাড়া পেবেলস, বটক্স, সম্বলাও অসাধারন লেগেছে।
কলকাতার সিনেমা আর বাংলাদেশের সিনেমাগুলোর মধ্যে মূলত কোন ধরনের পার্থক্য খুঁজে পান?
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র এই সময় দাঁড়িয়ে যেভাবে নিজের বাস্তবতা তুলে ধরতে পারছে সেখানে হয়তো ওপারের ছবিতে অনেক সময় অন্য কারো গল্প বলতে শোনা যায় বা দেখা যায়। তার ফলে অনেক সময় চলচ্চিত্র দর্শকের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। আমার মনে হয় বাংলাদেশের পরিচালকরা যেভাবে মাটির কথা তুলে ধরতে পারছেন, নিজের সংস্কৃতি, সমস্যা, অস্থিরতার কথা বলতে পারছেন, সেটাই সারা পৃথিবীর কাছে আরো বেশি গ্রহণযোগ্য করে তুলছে। এই সময় দাঁড়িয়ে নোনাজলের কাব্য বা রেহানা মরিয়ম নূরের কথা উল্লেখ করতে হয়।
ওপার বাংলায় আপনি চলচ্চিত্রের কোন কোন সেক্টরের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন?
আমি সম্পূর্ণভাবে চলচ্চিত্র উৎসবের বিভিন্ন কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকি, মূলত চলচ্চিত্র উৎসবের প্রোগ্রামিং বা কিউরেশন বা পরিচালকদের ছবি চলচ্চিত্র উৎসবে পাঠাতে সহায়তা করে থাকি।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়