ক্ষমা চেয়েছেন চীনা নাগরিক, টাকা চাননি সার্জেন্ট

আগের সংবাদ

জাতীয় পুরুষ বেসবল শুরু

পরের সংবাদ

প্রার্থীদের কাছে শিল্পীদের প্রত্যাশা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

১৯৮৪ সালে গঠিত হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। চলচ্চিত্র শিল্পীদের অধিকার ও সুযোগ-সুবিধার জন্য সব সময় কাজ করে আসছে এই সমিতি। আগামী ২৮
জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ১৭তম দ্বিবার্ষিক শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে দুটি প্যানেল অংশ নিচ্ছে। একটি মিশা সওদাগর-জায়েদ খান প্যানেল, অন্যটি ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল। বর্তমানে নির্বাচনকে ঘিরে বিএফডিসিতে শিল্পীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। ২৮ জানুয়ারি জানা যাবে কারা হবেন
এবারের সমিতির নির্বাচনে জয়ী। তার আগেই চলচ্চিত্রের কয়েকজন শিল্পী জানালেন নেতাদের কাছে তাদের প্রত্যাশার কথা। শুনলেন রোমান রায়

যেন শিল্পীদের সব ধরনের
স্বার্থ সংরক্ষণ করে
সিয়াম আহমেদ
শিল্পী সমিতির কাছে প্রত্যাশা তারা যেন শিল্পীদের সব ধরনের স্বার্থ সংরক্ষণ করে। শিল্পী সমিতির কাজ তো শিল্পীদের সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া। কারণ তাদের ছাড়া তো আমাদের আর কোনো মাদার অর্গানাইজেশন নেই। শিল্পী বলতে শুধু তারা নয়, যারা প্রধান চরিত্রে কাজ করেন। আমি তাদের কথা বলছি যারা প্রতিদিন কাজ করেন, যাদের ছাড়া আমাদের কাজটা অসম্পূর্ণ থাকে, তাদের তো সব সময় উল্লেখ করা হয় না। স্বার্থটা তাদের জন্যও অনেক গুরুত্বপূর্ণ। শিল্পীদের দুঃসময়ে পাশে দাঁড়াতে পারবে এমন শিল্পী সমিতির নেতা চাই। যেই জিতুক তারা যেন এদিকটার কথা চিন্তা করে কাজ করেন। যারা নির্বাচন করছেন তারা তো সবাই শিল্পী, কে জিতে গেল আর কে হেরে গেল তার চেয়ে বড় কথা সবাই যদি একসঙ্গে কাজ করেন তাহলে ভালো হবে। কারণ দিনের শেষে তো একটা কাজ একা করা সম্ভব না। ইন্ডাস্ট্রিতে আমি একজন ক্ষুদ্র শিল্পী হিসেবে সবার কাছে একটা অনুরোধ থাকবে এখানে সবাই শিল্পী তাই আমরা যেন কোনো কথায় কারো সম্মান নষ্ট হয় সেরকম কথা না বলি। চেষ্টা করি সম্মান রক্ষা করতে এবং দেশের মানুষের কাছে আমাদের যে ভাবমূর্তি সেটা যেন অক্ষুণ্ন থাকে।

সুস্থ একটা পরিবেশ
প্রত্যাশা করি
ইয়ামিন হক ববি
আমি সুস্থ একটা পরিবেশ প্রত্যাশা করি। যে কোনো কাজের জায়গায় যদি সুস্থ পরিবেশ না থাকে তাহলে সেখানে একটা বিরূপ প্রভাব পড়ে। আর কাজে ধারাটা কমে যায়। আল্টিমেটলি যারা সমস্যা তৈরি করেন তাদের যেমন লোকসান হয়, তেমনি যাদের জন্য সমস্যা তৈরি করা হয় তাদেরও লোকসানের মুখে পড়তে হয়। খুব করে সুস্থ একটা পরিবেশ আশা করি। কাজের পরিমাণও যেন বাড়ে সে প্রত্যাশা করি। পরিবেশটা যেন ঠিক থাকে। এটাই আমার প্রত্যাশা। আর সবার জন্য আমার শুভকামনা রইল।

সর্বপ্রথম সিনেমার
উন্নয়ন হোক
জিয়াউল রোশান
আমি চাইব সর্বপ্রথম সিনেমার উন্নয়ন হোক। সঙ্গে ইচ্ছার প্রয়োজন। যদি ইচ্ছে থাকে তাহলে সিনেমার উন্নয়ন করা অস্বাভাবিক কিছু না। সিনেমার ভালো করার চিন্তা সবার আগে করতে হবে। তারপর বাদবাকি সবকিছু। সিনেমা পেছনে টেনে না ধরে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমি এ রকম একজন নেতা চাই যার তীব্র ইচ্ছে থাকবে সিনেমার উন্নয়ন করা। শিল্পী সমিতির হাত ধরে যেন সিনেমাটা এগিয়ে যায়। সে মনমানসিকতাটা যেন তাদের মধ্যে থাকে।
দ্ব›দ্ব বিভেদ না করে সবার
পাশে দাঁড়াক এটাই চাই
আঁচল
সব শিল্পী একত্রে সুষ্ঠু সুন্দরভাবে থাকতে পারে। নিজেদের মধ্যে যেন কোনো দ্ব›দ্ব বিভেদ না করে সবাই যেন সবার পাশে দাঁড়ায় এটাই চাই। একদল জিতে একদল হারবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু জয়-পরাজয় নিয়ে নিজেদের মধ্যে কোনো রাগ ক্ষোভ না থাকে। যারাই নির্বাচনে জিতবে তারা যেন হেরে গেছেন তাদেরও রেখে একসঙ্গে কাজ করে। সবাই সবক্ষেত্রে সাপোর্ট করবে এটাই তাদের কাছে চাওয়া।

চলচ্চিত্র যে ধ্বংসের মুখে চলে গেছে সেটা আবার ফিরে আসুক
পূজা চেরি
যারা যোগ্য ব্যক্তি তারা অবশ্যই জয়ী হবেন। তাদের কাছে আমার প্রত্যাশা থাকবে চলচ্চিত্রের জন্য ভালো কিছুই করবেন। এখন তো আমাদের চলচ্চিত্র ধ্বংসের মুখে চলে গেছে। আমি চাই চলচ্চিত্র যে ধ্বংসের মুখে গিয়েছে সেটা আবার ফিরে আসুক। আমরা চলচ্চিত্রের মানুষ, চলচ্চিত্র অনেক দিন বেঁচে থাকুক আমাদের মধ্যে। আর আমরা যেন ভালো ভালো সিনেমা করতে পারি এটাই চাওয়া।

শিল্পী সমিতি সব সময় যেন শিল্পীদের পাশে থাকে
শিরিন শিলা
আমরা শিল্পীরা যখন কোনো বিপদে পড়ি বা আমরা সমালোচনার শিকার হই এবং আমাদের নিয়ে নানা গুজব রটায় আমি চাই শিল্পী সমিতি সব সময় যেন শিল্পীদের পাশে থাকে। আর এ গুজবগুলোর বিরুদ্ধে যেন কঠোর পদক্ষেপ নেন। যাতে করে কেউ এভাবে কোনো শিল্পীর বিরুদ্ধে কোনো গুজব ছড়াতে না পারে, কোনো শিল্পীকে কোনো প্রকার হয়রানি না করতে পারে। কিছু শিল্পী আছেন উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপন করেন, দেখা যায় একজনের জন্য দশজনের বদনাম হয়। শিল্পী সমিতি যদি এটা নিয়ে একটু কঠোর নিয়ম কানুন করেন তাহলে আমাদের জন্য ভালো হবে।

আমাদের যেন অভিভাবকের মতো আগলে রাখে
প্রার্থনা ফারদিন দীঘি
আমি দুই প্যানেলকেই শুভকামনা জানাচ্ছি। আমার সঙ্গে কারোই কোনো সমস্যা নেই। আমি সবাইকেই পছন্দ করি, ভালোবাসি। সবাই আমাকে ভালোবাসেন। আমি সবার অনেক আদরের। এ রকম কিছু না যে একজনকে সাপোর্ট করি আরেকজনকে করি না। সবার প্রতিই আমার শুভকামনা। যেই আসবেন তার কাছে এতটুকু প্রত্যাশা আমাদের যেন অভিভাবকের মতো আগলে রাখেন। যেমনটা আগেও দেখে আসছি। যেই আসুক তাদের ভালোবাসা, সহযোগিতা এটা যেন ধরে রাখেন। এটাই হচ্ছে আমার প্রত্যাশা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়