ক্ষমা চেয়েছেন চীনা নাগরিক, টাকা চাননি সার্জেন্ট

আগের সংবাদ

জাতীয় পুরুষ বেসবল শুরু

পরের সংবাদ

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক : পুনর্খনন করা হচ্ছে ৫১২ খাল

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম অফিস : ডেল্টা প্ল্যানের আওতায় সারাদেশে ৫১২টি খাল পুনর্খনন করা হচ্ছে বলে জানিয়ে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক বলেছেন, ইতোমধ্যে প্রায় ৭২ শতাংশ কাজ হয়ে গেছে। আমরা আশা করছি, ডিসেম্ববের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারব। তারপর দ্বিতীয় ধাপে ৪ হাজার ২৬টি খাল পুনর্খনন শুরু হবে। এ কাজ শুরু করতে সময় লাগবে তিন-চার বছর। সব কাজ শেষ হলে বর্ষায় উজান থেকে নেমে আসা পানির ধারণক্ষমতা বাড়বে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে কর্ণফুলী উপজেলায় শিকলবাহা খাল পুনর্খনন কাজ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, কর্ণফুলীর তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছিলাম। করোনার জন্য উচ্ছেদের কাজটা স্থগিত রেখেছি। করোনাকালে লোকজনের আয় ও উপার্জন সব থেমে গিয়েছিল বলে উচ্ছেদ বন্ধ রাখা হয়। শুধু কর্ণফুলী নয়, সারাদেশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের কাজটা সাময়িক স্থগিত করে রেখেছি। করোনার প্রভাব কমে গেলে উচ্ছেদ কার্যক্রম আবার শুরু হবে।
তিনি বলেন, শিকলবাহা খাল ছিল না, পুরোটাই ভরাট এবং অবৈধ স্থাপনায় ভর্তি ছিল। স্যুয়ারেজ লাইন গেছে খালে। পাড় দখল করে বানানো হয়েছে গরুর ঘর। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পর পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ শুরু করে। খাল খনন ও ড্রেজিং করা হয়েছে। অনেকবার স্থানীয়দের সতর্ক ও পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে দখলদারদের জরিমানাও করা হয়েছে। এরপরও দূষণ থেমে নেই। খননকাজ শেষ হলে এই খালের পানি লোকজন ব্যবহার করতে পারবে এবং শহরের সৌন্দর্য বাড়বে।
গত বছর একাধিকবার বন্যা হওয়ার পরও সেভাবে বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়নি জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাঁধ ভেঙে যায়নি, পানি উপচে পড়েছে। যেখানে গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানেও বাঁধের ক্ষতি হয়নি। আমরা যদি ৬৪ জেলায় ছোট নদী ও খাল খননকাজ শেষ করতে পারি, বর্ষায় এসব নদী ও খালে পানির ধারণক্ষমতা বাড়বে। তখন গ্রাম প্লাবিত হবে না, ক্ষতির পরিমাণ কমে সহনীয় অবস্থায় আসবে। প্রকল্প জনগণের কল্যাণের জন্য, সেখানে জনগণের সহযোগিতা লাগবে। জনগণের সহযোগিতা ছাড়া প্রকল্পের কাজ শেষ করা যাবে না। একজন লোকের জন্য ৫ হাজার মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করা যাবে না।
প্রতিমন্ত্রীর খাল পুনর্খনন কাজ পরিদর্শনকালে কর্ণফুলী উপজেলা চেয়ারম্যান মো. ফারুক চৌধুরী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা সুলতানা, পানি উন্নয়ন বোর্ড চট্টগ্রাম পৌর বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী তন্ময় কুমার ত্রিপুরা, কর্মকর্তা সিজেন চাকমা, মো. মানজুর এলাহী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কর্মকর্তারা জানান, কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা, চরলক্ষ্যা, চরপাথরঘাটা ও জুলধা ইউনিয়নের ওপর দিয়ে প্রবহমান প্রায় ১২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে লেংগ্যা-শিকলবাহা-চৌমুহনী নয়াহাট খালটি কর্ণফুলী নদীর বাম তীরে ফিসারি ঘাটের নয়াহাট থেকে উৎপত্তি হয়ে ডায়মন্ড সিমেন্ট ফ্যাক্টরি এলাকায় পুনরায় কর্ণফুলী নদীতে পতিত হয়েছে। দীর্ঘদিন পুনর্খনন না হওয়ায় খালের বিভিন্ন অংশ ভরাট হয়ে বর্ষা মৌসুমে নিকটবর্তী এলাকাগুলোতেহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হতো। খালের কিছু অংশ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এছাড়া খালের নিকটবর্তী স্থানে অবস্থিত বিভিন্ন শিল্পকারখানা, বাজার এবং ডেইরি ফার্মের বর্জ্য সরাসরি খালে ফেলে দেয়ায় খালের তলদেশ আবর্জনায় ভরাট হয়ে আশপাশের এলাকায় পানিপ্রবাহে বাধাগ্রস্ত হওয়াসহ পরিবেশেরও মারাত্মক বিপর্যয় ঘটে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়