ক্ষমা চেয়েছেন চীনা নাগরিক, টাকা চাননি সার্জেন্ট

আগের সংবাদ

জাতীয় পুরুষ বেসবল শুরু

পরের সংবাদ

টোঙ্গায় পৌঁছাল খাবার পানি ও বিদ্যুৎ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত ও সুনামিতে বিপর্যস্ত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপ দেশ টোঙ্গায় দেখা দিয়েছে খাবার ও পানির সংকট। আগামী কয়েক দিনে বিভিন্ন দেশ থেকে ত্রাণ নিয়ে পৌঁছানোর কথা রয়েছে বেশ কয়েকটি জাহাজ ও বিমানের। আগ্নেয় ছাইয়ে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা দূষিত এবং সুনামিতে ঘরবাড়ি ধ্বংস হওয়ার পাঁচ দিন পর গত বৃহস্পতিবার প্রথম নিউজিল্যান্ডের একটি বিমান ত্রাণ নিয়ে টোঙ্গায় পৌঁছায়। টোঙ্গার প্রধান বিমানবন্দরের রানওয়ে ঢেকে রাখা আগ্নেয় ছাই পরিষ্কার করার পর ওই সামরিক বিমানটি সেখানে নামতে সক্ষম হয়। পানি, তাঁবু, যোগাযোগের যন্ত্রপাতি এবং বৈদ্যুতিক জেনারেটর নিয়ে গেছে বিমানটি। নিউজিল্যান্ডের জাহাজ এমএইচএনজেডএস অতেয়ারোয়ার গতকাল শুক্রবারই টোঙ্গায় পৌঁছায়। এতে আছে আড়াই লাখ লিটার পানি এবং একটি ডিসালিনেশন প্ল্যান্ট, যেটি সাগরের পানি থেকে প্রতিদিন ৭০ হাজার লিটার ব্যবহারযোগ্য পানি দিতে পারবে। গত বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়া থেকে ত্রাণ নিয়ে টোঙ্গার পথে রওনা হয়েছিল একটি বিমান। কিন্তু কারিগরি জটিলতায় মাঝপথে সেটি ফিরে যায়। গতকাল শুক্রবার সেটি টোঙ্গায় পৌঁছায়। এছাড়া ব্রিসবেন থেকে ত্রাণ নিয়ে আগামী সপ্তাহে টোঙ্গায় যাওয়ার কথা অস্ট্রেলিয়ার জাহাজ এইচএমএএস অ্যাডিলেডের।
গত ১৫ জানুয়ারি দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের জলমগ্ন একটি আগ্নেয়গিরিতে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে অগ্নুৎপাত শুরু হলে সুনামির সৃষ্টি হয়। সুনামির প্রবল ঢেউয়ে নিকটবর্তী টোঙ্গায় অন্তত তিনজন নিহত হন, ভেসে যায় অসংখ্য ঘরবাড়ি। টোঙ্গার দ্বীপগুলো ঢাকা পড়ে আগ্নেয়গিরির উৎক্ষিপ্ত ছাইয়ে। বিষাক্ত ছাইয়ের কারণে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। ছাই ও সুনামির ঢেউ বেয়ে আসা লবণাক্ত পানিতে দেশটির পানি সরবরাহ ব্যবস্থা দূষিত হয়ে পড়ে। অগ্নুৎপাত ও সুনামিতে সাগরের তলদেশ দিয়ে যাওয়া সাবমেরিন কেবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দেশটি পুরো বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বলেন, এই বিপর্যয়ের মধ্যে জরুরি সহায়তা চেয়েছে টোঙ্গা। এ নিয়ে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে জাতিসংঘ। ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের পাশাপাশি কতটা সাহায্য প্রয়োজন বুঝতে টোঙ্গার প্রায় সব দ্বীপেই পৌঁছে গেছেন কর্মীরা।
দুজারিক বলেন, পুরো দেশে ৫০ হাজার মানুষ কীভাবে খাবার পানি পাবে, তা নিয়ে আমরা সত্যিই উদ্বিগ্ন। দ্বীপগুলোর পানির অবস্থা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। আপাতত বেশির ভাগ মানুষ বোতলের পানির ওপরই ভরসা করছেন। তিনি জানান, আগ্নেয় ছাই আর সাগরের লবণাক্ত পানির কারণে ফসল, গবাদিপশু এবং মাছের যে ক্ষতি হয়েছে, তার সরাসরি প্রভাব পড়বে অন্তত ৬০ হাজার মানুষের ওপর। বাতাস ও পানিতে যে দূষণ ঘটেছে, তাতে আগামীতে অ্যাসিড বৃষ্টিও হতে পারে। ইতোমধ্যে টোঙ্গায় জ¦ালানি সংকট দেখা দিয়েছে বলেও জানান দুজারিক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়