কাগজ প্রতিবেদক : বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সদস্যপদ নিয়ে হাইকোর্টের আদেশের কপি প্রায় এক সপ্তাহ ধরে চেষ্টা করেও মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানের হাতে পৌঁছাতে পারেননি জারিকারক। আদেশের কপি তারা গ্রহণ না করে নানা টালবাহানা করে ফিরিয়ে দিয়েছেন। বারবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুনরায় এফডিসিতে যান হাইকোর্টের দুই জারিকারক।
তারা জানান, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ১৮৪ জন সদস্যের ভোটাধিকার বাতিল নিয়ে একটি মামলা চলছে। সেই মামলার বিষয়ে একটি আদেশনামা নিয়ে এফডিসিতে গিয়েছিলেন তারা। কিন্তু আদেশনামা গ্রহণ করেননি শিল্পী সমিতির গত দুই মেয়াদের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক মিশা সওদাগর ও জায়েদ খান। মিশা-জায়েদের সাড়া না পেয়ে গতকাল শুক্রবার বিএফডিসির শিল্পী সমিতির কার্যালয়ের সামনে আদেশনামা ঝুলিয়ে দিয়েছেন জারিকারকরা।
এদিকে, করোনার দাপটের মধ্যে আগামী ২৮ জানুয়ারি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন হচ্ছে কিনা এ নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। অবশ্য প্রধান কমিশনার পীরজাদা শহিদুল হারুন বলেছেন, আমরা স্বাস্থ্যবিধি মনে চলছি। করোনার কথা বিবেচনা করে সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করছি। তবে এখনো পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত করার ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা আমাদের কাছে আসেনি। যদি আসে তাহলে অবশ্যই সরকারের নির্দেশ মেনে নেব আমরা।
অন্যদিকে বাদ পড়াদের সদস্যপদ ফিরিয়ে দিতে হাইকোর্টের আদেশনামা বৃহস্পতিবার দিনভর নানা টালবাহানা করেও জায়েদ খান গ্রহণ করেননি। পরে গতকাল তা সমিতির সামনে টানিয়ে দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আগামীকাল রবিবার আদালতে রিপোর্ট দেবেন জারিকারকরা। এরপর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবেন আদালত।
প্রসঙ্গত, মিশা ও জায়েদের নেতৃত্বে শিল্পী সমিতি থেকে ১৮৪ জন শিল্পীর সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে বলে শোনা যায়। বিষয়টি নিয়ে জটিলতা বাড়তে বাড়তে হাইকোর্ট অব্দি পৌঁছায়। যদিও কয়েক দিন আগে জায়েদ খান দাবি করেন, বাতিল হওয়া সদস্যের সংখ্যা ১৩০ জনের মতো হবে। এর মধ্যে অনেকেই মৃত। সর্বশেষ গত সপ্তাহে খুন হন অভিনেত্রী শিমু।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।