ক্ষমা চেয়েছেন চীনা নাগরিক, টাকা চাননি সার্জেন্ট

আগের সংবাদ

জাতীয় পুরুষ বেসবল শুরু

পরের সংবাদ

খাবার অযোগ্য চাল ঢোকানোয় বরখাস্ত গুদাম কর্মকর্তা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২২, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক, কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সরকারি খাদ্যগুদামে রাতের অন্ধকারে খাবার অযোগ্য চাল ঢোকানোর অভিযোগে গুদাম কর্মকর্তা মোর্শেদ আলমকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের আদেশ দেন এবং পার্শ^বর্তী রাজিবপুর উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিককে রৌমারী খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে ওই আদেশের কপি সংশ্লিষ্ট বিভাগের অফিসিয়াল ই-মেইল মারফত পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন রৌমারীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল ইমরান। নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলা খাদ্যগুদামে কুড়িগ্রাম থেকে পাঠানো ভালো চাল গুদামে না ঢুকিয়ে তার পরিবর্তে স্থানীয় মিলারদের কাছ থেকে খাবার অযোগ্য চাল নিয়ে ঢোকানো হচ্ছিল। এ সময় হাতেনাতে ধরা পড়ার পর খাদ্যগুদাম সিলগালা করা হয়। এছাড়া বুধবার দুপুরের দিকে ৩ সদস্যবিশিষ্ট বিভাগীয় তদন্ত কমিটি সরজমিন তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পান। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মোর্শেদ আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে ৩০ কেজি ওজনের ১৭৩ বস্তা খাবার অযোগ্য চাল গুদামে ঢোকানোর সময় বাইরে আরো ৭৭ বস্তা চাল গুদামে ঢোকানোর অপেক্ষায় ছিল বলে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান।
এ খবর পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে গুদামে ঢোকানো ১৭৩ বস্তা চাল এবং আগে থেকে রক্ষিত ১৯ টন চালসহ ১ নম্বর গুদাম সিলগালা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। সিলগালা করার পর বাইরে থাকা ৭৭ বস্তা চাল সশস্ত্র আনসারের প্রহরায় রাখা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ভিজিডিসহ বিভিন্ন কর্মসূচির উপকারভোগীদের মধ্যে বিতরণের জন্য জেলা সদরের খাদ্যগুদাম থেকে ৩০০ টন চাল রৌমারী উপজেলা খাদ্যগুদামে পাঠানোর পরিবহন কর্মসূচি দেয়া হয়। এই কর্মসূচির আওতায় জেলা সদর থেকে দুদিন আগে ১৫৪ টন চাল রৌমারীতে পাঠানোর জন্য ছাড় করা হয়। কিন্তু সে চাল গুদামে না ঢুকিয়ে রাতের অন্ধকারে স্থানীয় মিলারের কাছ থেকে ওই খাবার অযোগ্য চাল গুদামে ঢোকানো হচ্ছিল।
সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃত রৌমারী খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোর্শেদ আলম জানান, তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্তের কথা শুনেছেন। এখন পর্যন্ত চিঠি পাননি বলে জানালেও এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি তিনি।
রৌমারী খাদ্যগুদামের অতিরিক্ত দায়িত্ব পাওয়া রাজিবপুর উপজেলার খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান, অতিরিক্ত দায়িত্ব আমাকে দেয়া হয়েছে। দায়িত্ব বুঝে নেয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে রংপুর আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. আব্দুস সালাম জানান, ৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাওয়ায় রৌমারী উপজেলার খাদ্যগুদাম কর্মকর্তা মোর্শেদ আলমকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এখন আইনানুযায়ী তার বিরুদ্ধে অন্যান্য বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়