ঢামেকে আগুন আতঙ্ক, রোগীর স্বজনদের ছুটাছুটি

আগের সংবাদ

কড়া নির্দেশনা কার্যকরে ঢিলেমি

পরের সংবাদ

ভারতে দৈনিক শনাক্ত ৩ লাখ ছাড়াল

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : বিশ্বে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রমনের দাপটের মধ্যে ভারতে দিনে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা তিন লাখ ছাড়িয়েছে; সংক্রমণের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৬.৪১ শতাংশে। গত ডিসেম্বরের পর থেকে ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কোভিডের সংক্রমণ, বাড়ছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। সংক্রমণ পরিস্থিতিতে বর্তমানে বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের পরই ভারতের অবস্থান।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বুধবার সেখানে ৩ লাখ ১৭ হাজার ৫৩২ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে। মহামারির পুরো সময়ে দেশটিতে মোট ৩ কোটি ৮২ লাখের বেশি মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, গত বছর ১৫ মে একদিনে ভারতে ৩ লাখ ১১ হাজার ১৭০ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল।
ফলে গত একদিনের নতুন রোগীর সংখ্যা গত আট মাসে সর্বোচ্চ। গত একদিনে ভারতে ৪৯১ জনের মৃত্যু ঘটেছে। এর পূর্ববর্তী দিন এই সংখ্যা ছিল ৪৪১। মহামারির পুরো সময়ে কোভিডে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৬৯৩ জনের মৃত্যু ঘটেছে সেখানে।
ভারতের ২৯টি রাজ্যে কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে যাদের নমুনা থেকে ভাইরাসের জেনোম সিকোয়েন্স করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ৯ হাজার ২৮৭ জনের দেহে ওমিক্রনের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রে ১ হাজার ৮৬০ জনের এবং পশ্চিমবঙ্গে ১ হাজার ৬৭২ জনের ওমিক্রন শনাক্ত হয়। ওমিক্রনের প্রভাবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের সর্বশেষ যে ঢেউ চলছে, তা কতটুকু গুরুতর হবে সেটি হাসপাতাল ও মৃত্যুর তথ্যে বেরিয়ে আসার আগে সংক্রমণ কয়েক সপ্তাহ চলতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য জানিয়েছে, ওমিক্রনের ফলে হাসপাতালগুলোতে রোগী ভর্তি এবং মৃত্যুর সংখ্যা ডেল্টা ধরনের তুলনায় অনেক কম। তবে চেন্নাইয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজির বিশেষজ্ঞ তরুণ ভাটনাগর বলেন, সা¤প্রতিক সংক্রমণের প্রভাব দীর্ঘায়িত হতে পারে। গত বুধবার দেশটিতে দৈনিক সংক্রমণের হার ছিল ১৫.১৩ শতাংশ, গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়ে হয়েছে ১৬.৪১ শতাংশ। কোভিড আক্রান্তের দিক থেকে সব থেকে বেশি নাজুক অবস্থা মহারাষ্ট্রের। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ৪৩ হাজার ৬৯৭ জন কোভিড শনাক্ত হন, তার মধ্যে ওমিক্রন শনাক্ত হয় ২১৪ জনের শরীরে। একদিনে হিসাবে গতকাল বৃহস্পতিবার সেখানে ৪৯ জনের মৃত্যু ঘটে।
এরপরই রয়েছে দিল্লি, সেখানে ১৩ হাজার ৭৮৫ জন কোভিডে সংক্রমণ ও ৩৫ জনের মৃত্যু ঘটেছে। ভারতে ৯৩ কোটি ৯০ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের মধ্যে প্রায় ৭০ শতাংশ ইতোমধ্যে টিকার দুটি ডোজ পেয়েছেন। স্বাস্থ্যকর্মী ও ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে বুস্টার ডোজ দেয়ার কার্যক্রমও চলছে। তবে অনেকেই এখনো টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার অপেক্ষায় আছেন। তরুণ ভাটনাগর কয়েকটি রাজ্যের তথ্য জানিয়ে বলেন, হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রগুলোতে এখন যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন, তাদের ৯০ শতাংশের বেশি টিকা নেননি, অথবা টিকার পূর্ণ ডোজ পাননি এখনো।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়