ঢামেকে আগুন আতঙ্ক, রোগীর স্বজনদের ছুটাছুটি

আগের সংবাদ

কড়া নির্দেশনা কার্যকরে ঢিলেমি

পরের সংবাদ

নন্দীগ্রামে আ.লীগ নেতা হত্যার ষড়যন্ত্র ফাঁস!

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য আনোয়ার হোসেন রানা এলএলবিকে হত্যা করার জন্য পরিকল্পনা ও হামলা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ঘটনা জানার পর নেতাকর্মীরা ক্ষোভে ফুঁসছেন।
স্থানীয় নেতারা বলছেন, ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়েছে এবং বিএনপির সাংসদ আলহাজ মোশারফ হোসেন, ইউপি নির্বাচনে বহিষ্কৃৃত আওয়ামী লীগ নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল আশরাফ জিন্নাহ, সাবেক জামায়াত নেতা ও বিএনপি নেতা অধ্যাপক হাসনাত আলী এসবের নেপথ্যে রয়েছেন বলে দাবি করেন নেতারা।
গত বুধবার বিকালে তারা অভিযোগ করেন, গত ৮ জানুয়ারি উপজেলায় দলীয় কার্যক্রম শেষে বগুড়া ফেরার পথে রাত সাড়ে ১১টার দিকে কয়েকটি নম্বরবিহীন মোটরসাইকেলে অচেনা ৮-৯ জন মুখোশ পরা অস্ত্রধারী যুবক আওয়ামী লীগ নেতা এলএলবি রানার প্রাইভেট জিপ ধাওয়া করে। নন্দীগ্রাম উপজেলা সদর থেকে শাজাহানপুর উপজেলার ওমরদীঘি বাজার পর্যন্ত বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে জিপ গাড়িটি থামানোর চেষ্টা করে। এসব ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক।
হত্যার জন্য ষড়যন্ত্র এবং কয়েক দফায় হামলার চেষ্টা করা হয়েছে বলে দাবি করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রানা এলএলবি। তিনি বলেন, পারিবারিক শত্রæদের সঙ্গে রাজনৈতিক শত্রæরা একত্রিত হয়ে হত্যার পরিকল্পনা করেছে। সেই ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়েছে। যারা গত নির্বাচনগুলোতে নৌকা প্রতীকের বিরোধিতা করেছে, আমি তাদের চরম শত্রæতে পরিণত হয়েছি। তাদের পথের কাঁটা হয়েছি। তৃণমূলে আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করায় বিএনপির এমপি মোশারফ, আওয়ামী লীগ থেকে বিতাড়িত উপজেলা চেয়ারম্যান জিন্নাহ এবং নাশকতা মামলার আসামি হাসনাত আলীর মদতে পরিকল্পিতভাবে হত্যার চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, দলীয় কার্যক্রম শেষে বগুড়া ফেরার পথে নন্দীগ্রাম থেকে ওমরদীঘি পর্যন্ত নম্বরবিহীন ৩-৪টা মোটরসাইকেলে কালো জ্যাকেট এবং মুখোশ পরা অচেনা যুবকরা আমাদের জিপ গাড়ি থামানোর চেষ্টা করে।
এই ঘটনা পরিকল্পিত, তাদের অসৎ উদ্দেশ্য ছিল। আমাদের জিপ গাড়ি স্পিড বাড়ালে তারা মোটরসাইকেলের হেডলাইট বন্ধ করে দেয়।
এ প্রসঙ্গে থানার ওসি (তদন্ত) মো. আশরাফুল আলম জানান, ওসি ছুটিতে আছেন। বিষয়টি তার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
বগুড়া-৪ আসনে বিএনপির সাংসদ আলহাজ মোশারফ হোসেনের মন্তব্য নিতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়