ঢামেকে আগুন আতঙ্ক, রোগীর স্বজনদের ছুটাছুটি

আগের সংবাদ

কড়া নির্দেশনা কার্যকরে ঢিলেমি

পরের সংবাদ

দেশব্যাপী এসএমই ই-ডাটাবেজ তৈরি কার্যক্রম শুরু : ডাটাবেজের মাধ্যমে সহজে সেবা পাবেন এসএমই উদ্যোক্তারা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের শতকরা প্রায় ৯৯ ভাগ শিল্প ও ব্যবসা কুটিরসহ এমএসএমই খাতের আওতাভুক্ত। এ খাত দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ৭০ শতাংশই নিয়ন্ত্রণ করে। মোট শিল্প কর্মসংস্থানের শতকরা ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ সৃষ্টি হচ্ছে এসএমই খাতে। এসএমই খাত মোট অভ্যন্তরীণ শিল্পপণ্য চাহিদার শতকরা ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ জোগান দিয়ে থাকে। তাই এসএমই ই-ডাটাবেজ কার্যক্রম অত্যন্ত সময়োপযোগী উদ্যোগ।
এটুআইয়ের সহযোগিতায় দেশব্যাপী এসএমই ই-ডাটাবেজ তৈরি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গতকাল ঢাকার শ্যামপুর, বগুড়ার আদমদীঘি, পিরোজপুরের নেছারাবাদ এবং কিশোরগঞ্জের ভৈরবে পাইলট কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। স্বাগত বক্তব্য রাখেন এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশের সব এসএমই উদ্যোক্তার তথ্য একটি প্ল্যাটফর্মে পাওয়া গেলে এ খাতের উন্নয়নে সরকারের নীতিনির্ধারণ সহজ হবে। এ ধরনের কর্মসূচি অর্থনীতির প্রাণ এমএসএমই খাতের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এজন্য এসএমই ফাউন্ডেশন ও এটুআই সাধুবাদ পাওয়ার যোগ্য বলে আমি মনে করি। এ সময় তিনি ভৈরবের একটি ইউনিয়ন তথ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে একজন উদ্যোক্তার যাবতীয় তথ্য আপলোড করার পর সেটি অনুমোদন করার মাধ্যমে পাইলট কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
স্বাগত বক্তব্যে এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. মফিজুর রহমান বলেন, এসএমই নীতিমালা ২০১৯ এ ২০২৪ সালের মধ্যে জিডিপিতে এসএমই খাতের অবদান বর্তমান ২৫ শতাংশ থেকে ৩২ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে। এ খাতের উন্নয়নে এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এটুআইয়ের সহযোগিতায় এসএমই ই-ডাটাবেজ সরকারের নীতিনির্ধারণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, দেশের সবচেয়ে বড় এ খাতকে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু নিয়মিত হালনাগাদকৃত ডাটাবেজ না থাকার ফলে আমাদেরকে প্রায়ই সিএমএসএমই খাত নিয়ে নানা নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে বেগ পেতে হতো। তাই আমি মনে করছি, এসএমই ফাউন্ডেশন ও এটুআইয়ের এ উদ্যোগ একটি সময়োপযোগী ও বাস্তবসম্মত উদ্যোগ। আমি এটুআইকে অনুরোধ জানাব এসএমই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে কাজ অব্যহত রাখতে এবং দেশের সব সিএমএসএমইকে কীভাবে ডাটাবেজের আওতায় আনা যায়, তার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করতে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মো. মাসুদুর রহমান বলেন, এটুআই ও এসএমই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শিগগিরই এসএমই ই-ডাটাবেজ তৈরির কাজ শেষ হলে উদ্যোক্তাদের অর্থায়ন, পণ্য বাজারজাতকরণ এবং পণ্যের মানোন্নয়নে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এসএমই ফাউন্ডেশনের ওয়েব লিংকে লগইন করে উদ্যোক্তা নিজেই ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের সহায়তায় এসএমই ক্লাস্টার এসোসিয়েশনের মাধ্যমে এসএমই ই-ডাটাবেজের জন্য নিজেদের তথ্য আপলোড করতে পারবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে পরিসংখ্যান ব্যুরো পরিচালিত সর্বশেষ অর্থনৈতিক সমীক্ষা অনুযায়ী দেশের ৭৮ লাখের বেশি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৯ ভাগের বেশি কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) খাতের।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়