ঢামেকে আগুন আতঙ্ক, রোগীর স্বজনদের ছুটাছুটি

আগের সংবাদ

কড়া নির্দেশনা কার্যকরে ঢিলেমি

পরের সংবাদ

টোঙ্গায় সুনামি : প্রথম ত্রাণবাহী বিমান নামল ৫ দিন পর

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : আগ্নেয়গিরির উদ্গীরণ ও সুনামিতে বিপর্যস্ত প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপদেশ টোঙ্গায় অতি জরুরি ত্রাণ নিয়ে নিউজিল্যান্ডের একটি বিমান অবতরণ করেছে। আগ্নেয় ছাইয়ে পানি সরবরাহ ব্যবস্থা দূষিত ও সুনামিতে বসতিগুলো ধ্বংস হওয়ার পাঁচ দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো বিদেশি একটি বিমান দেশটিতে নামল।
নিউজিল্যান্ড জানিয়েছে, কর্মীরা টোঙ্গার প্রধান বিমানবন্দরের রানওয়ে ঢেকে রাখা আগ্নেয় ছাই পরিষ্কার করার পর সেখানে তাদের একটি সামরিক বিমান নেমেছে। তাদের পাঠানো অন্য বিমান ও জাহাজগুলো পথে রয়েছে। গত শনিবার দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের জলমগ্ন একটি অগ্নেয়গিরিতে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে অগ্নুৎপাত শুরু হলে সুনামি সৃষ্টি হয়। সুনামির প্রবল ঢেউয়ে নিকটবর্তী টোঙ্গায় অন্তত তিনজন নিহত হয় ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আগ্নেয়গিরির উৎক্ষিপ্ত ছাইয়ে টোঙ্গার দ্বীপগুলো ঢাকা পড়ে। বিষাক্ত ছাইয়ের কারণে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। ছাই ও সুনামির ঢেউ বেয়ে আসা লবণাক্ত পানিতে দেশটির পানি সরবরাহ ব্যবস্থা দূষিত হয়ে পড়ে।
অগ্নুৎপাত ও সুনামিতে সাগরের তলদেশ দিয়ে যাওয়া ক্যাবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে দেশটি পুরো বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
পাঁচ দিন বিচ্ছিন্ন থাকার পর টোঙ্গা বাকি বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ ফের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে বলে জানায় বিবিসি। রাজধানী নুকুয়ালোফার বিমানবন্দরের রানওয়ে ঘন ছাইয়ের স্তরে ঢাকা পড়ায় সেখানে গত কয়েক দিন বিমান নামতে পারছিল না। দেশটির উদ্ধারকারী দলগুলো ও স্বেচ্ছাসেবকরা বেলচা ও ঠেলাগাড়ি ব্যবহার করে বিমানবন্দরটির টারমাক পরিষ্কার করতে চার দিন ধরে প্রাণান্ত পরিশ্রম করার পর গত বুধবার ছাই সরানোর কাজ শেষ হয়। এই কাজকে ‘বিশাল প্রচেষ্টা’ অভিহিত করে প্রশংসা করেছেন নিউ জিল্যান্ড জয়েন্ট ফোর্সেসের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল জিম গিলমোর। গতকাল বৃহস্পতিবার তিনি সাংবাদিকদের জানান, স্থানীয় সময় বিকাল ৪টার একটু পর সি-১৩০ হারকিউলিস বিমানটি টোঙ্গায় নেমেছে। এটিতে পানির কন্টেইনার, অস্থায়ী আশ্রয়ের উপকরণ, বৈদ্যুতিক জেনারেটর, পরিচ্ছন্নতা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী এবং যোগাযোগ উপকরণ আছে। অস্ট্রেলিয়া জানিয়েছে, তাদের দুটি বোয়িং সি-১৭ গেøাবমাস্টার বিমানও বৃস্পতিবারই টোঙ্গায় নামবে। এসব বিমানও বিশুদ্ধ পানি, খাবার ও যোগাযোগ উপকরণ নিয়ে যাচ্ছে। তবে এগুলোতে রানওয়ে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করার জন্য ‘ঝাড়– দেয়ার’ যন্ত্রও পাঠানো হয়েছে। অন্যদিকে বিবিসি জানায়, টোঙ্গায় পাঠানো ত্রাণে প্রাথমিকভাবে বিশুদ্ধ পানি, চিকিৎসা ও পরিচ্ছন্নতা সামগ্রীর পাশাপাশি টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সারিয়ে তোলা ও একে পুরোপুরি কার্যক্ষম করার সামগ্রী সরবরাহে অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়