ঢামেকে আগুন আতঙ্ক, রোগীর স্বজনদের ছুটাছুটি

আগের সংবাদ

কড়া নির্দেশনা কার্যকরে ঢিলেমি

পরের সংবাদ

জব্দ চাল বেচলেন গুদাম কর্মকর্তা!

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২১, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এ আর সোহেব চৌধুরী, চরফ্যাশন (ভোলা) থেকে : জব্দকৃত চাল আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ খাদ্যগুদামের সাবেক কর্মকর্তা কমল গোপাল দের বিরুদ্ধে। গুদামে রক্ষিত জব্দকৃত ১ হাজার ২০০ কেজি ‘জি আর’ প্রকল্পের চাল তিনি বদলি হয়ে যাওয়ার আগে বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে জানা গেছে। তিনি চরফ্যাশন থেকে ২০২১ সালের ২১ অক্টোবর বদলি হন। বর্তমানে বাউফল উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক পদে কর্মরত আছেন। শশীভূষণ খাদ্যগুদামের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসরাত জাহান মনা জানান, কমল দে সরকারি চালের বাইরে আমাকে বাড়তি কোনো চাল বুঝিয়ে দিয়ে যাননি। গত ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টায় তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রসুলপুর ও জিন্নাগড় ইউনিয়নের মাদ্রাসা এতিমখানা ও শ্রীশ্রী রাধা কৃষ্ণ মন্দিরের জন্য জেলা প্রশাসনের দেয়া বরাদ্দের দুই টন চালের মধ্যে ১ হাজার ২০০ কেজি (৪০ বস্তা) চাল রসুলপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের হাজি রোড এলাকার বাসিন্দা সেলিমের বসতঘর থেকে জব্দ করেন। জব্দকৃত ওই চাল তৎকালীন শশিভূষণ খাদ্যগুদামের কর্মকর্তা কমল গোপাল দের জিম্মায় দেয়া হয়। চাল জব্দের পরদিন তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমিন একটি ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করলেও এক বছরের অধিক সময় অতিবাহিত হলেও অজ্ঞাত কারণে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়নি বলে জানা গেছে। অভিযুক্ত কর্মকর্তা কমল গোপাল দে বলেন, ‘আরে ভাই এত কিছু জিজ্ঞেস করেন কেন, একটু সেক্রিফাইস দৃষ্টিতে দেখেন। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (অ.দা.) মো. মোসারেফ হোসেন বলেন, বিষয়টি জানার পর মোবাইল ফোনে জানতে চেয়েছি কিন্তু তিনি সদুত্তর দেননি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আল নোমান জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিল না । আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখব।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়