সেশনজট নিরসনে গ্রীষ্মকালীন ছুটি কমাল ঢাবি

আগের সংবাদ

কী নির্দেশনা পেলেন ডিসিরা : জনগণের সেবক হতে হবে > খাদ্য নিরাপত্তা-বাজার স্থিতিশীল রাখা > সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ

পরের সংবাদ

সাত কাউন্সিলরের নোটিসের জবাব দিল বিসিসি কর্তৃপক্ষ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এম কে রানা, বরিশাল থেকে : অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহসহ তিন কর্মকর্তাকে দেয়া সাত কাউন্সিলরের আইনি নোটিসের জবাব দিয়েছে নগর ভবন কর্তৃপক্ষ। জবাবে কাউন্সিলরদের উত্থাপিত অভিযোগ অসত্য এবং ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে নোটিস দাতা কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশন ও মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের পাল্টা অভিযোগ করা হয়েছে। তাই লিগ্যাল নোটিসে উল্লিখিত অভিযোগের প্রমাণ দিতে না পারলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে জবাবে।
গত ১৬ জানুয়ারি সিটি করপোরেশনের পক্ষে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ফারুক আহমেদ বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এডভোকেট জগদীশ চন্দ্র সরকারের মাধ্যমে নোটিস প্রদানকারী এডভোকেট মো. আজাদ রহমানের কাছে এ জবাব পাঠান। নোটিসের জবাব ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাস।
এর আগে গত ২ জানুয়ারি আইনজীবীর মাধ্যমে সিটি মেয়র, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং সচিবের বিরুদ্ধে ছয়টি অভিযোগ উল্লেখ করে লিগ্যাল নোটিস দেন বরিশাল সদর আসনের সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম অনুসারী সাত কাউন্সিলর। নোটিস গ্রহীতাদের ১৫ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়। উল্লিখিত সময়ের মধ্যেই নোটিসের জবাদ দিয়েছে নগর কর্তৃপক্ষ।
নোটিস প্রদানকারী সাত কাউন্সিলর হলেন- সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হুমায়ুন কবির, ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল ইসলাম বাদশা, ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ফরিদ আহম্মদ, ২০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউর রহমান, ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আমির হোসেন বিশ্বাস, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শরীফ মো. আনিসুর রহমান (আনিস শরীফ) ও ২৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এনামুল হক বাহার।
নোটিসে তারা উল্লেখ করেন, সিটি করপোরেশনের স্থায়ী বিভিন্ন কর্মকর্তাদের বেআইনিভাবে ওএসডি রেখে মাস্টাররোলে অদক্ষ জনবল নিয়োগ দিয়ে সিটি করপোরেশন পরিচালনা করা হচ্ছে। এসব কর্মচারীদের কোনো আইনি দায়বদ্ধতা না থাকায় তাদের কারণে জনগণের ক্ষতি হতে পারে। আরও বলা হয়, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী সিটি করপোরেশন পরিচালনার নিয়ম থাকলেও তা মেয়রসহ নোটিস পাওয়া তিনজন খামখেয়ালি করে কাজ চালাচ্ছেন। এতে করপোরেশনের স্থবিরতা ও জন-অসন্তোষ বাড়ছে। একইভাবে হাটবাজার টেন্ডার প্রকিয়ায় না দিয়ে নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের ইজারা দেয়া হয়েছে বেআইনিভাবে।
আইনি নোটিসের এসব প্রশ্নের জবাব দিয়েছে নগর কর্তৃৃপক্ষ। অভিযোগে কাউন্সিলরদের ভাতা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের সম্মানী ভাতা সরকার নির্ধারিত ৪৩ হাজার ৫০০ টাকা দেয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে যাতায়াত ও যোগাযোগ বাবদ ৬ হাজার ৫০০ টাকা দেয়া হয়।
দ্বিতীয় প্রশ্নের জবাবে বলা হয়, নোটিসদাতা কাউন্সিলরদের বরিশাল সিটি করপোরেশনে যাওয়া নিষিদ্ধ মর্মে উক্তিটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। ট্যাক্স সংক্রান্ত তৃতীয় অভিযোগের জবাবে বলা হয়েছে, সিটি করপোরেশনের বর্তমান চতুর্থ পরিষদ কোনো ধরনের হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধি করেনি।
জনস্বার্থ উপেক্ষা করে হোল্ডিং ট্যাক্স বৃদ্ধির বিষয়ে মনগড়া মন্তব্য উসকানিমূলক, মিথ্যা ও বানোয়াট। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরিচ্যুত এবং ওএসডিকরণ সংক্রান্ত চতুর্থ প্রশ্নের জবাবে বলা হয়, সিটি করপোরেশনের কতিপয় অসাধু স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতে জনস্বার্থে ও সিটি করপোরেশনের কাজের স্বার্থে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশাসনিক শাখায় নিয়োজিত করা হয়েছে।
পঞ্চম প্রশ্নের জবাবে বলা হয়েছে, বরিশাল সিটির স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন আইন)-২০০৯ অনুযায়ী এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী পরিচালিত হয়।
বরিশাল সিটি করপোরেশনে প্রেষণে একজন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (উপসচিব), সচিব (সিনিয়র সহকারী সচিব), বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (সহকারী সচিব) পদমর্যাদার কর্মকর্তারা আইনের বিষয়টি দেখেন। ছয় নম্বর অভিযোগের জবাবে বলা হয়, বরিশাল সিটির হাটবাজারগুলো বিধি অনুযায়ী পত্রিকায় বিজ্ঞ?াপনের মাধ্যমে ইজারা দেয়া হয়। সর্বোচ্চ দরদাতারাই হাটবাজারের ইজারা পেয়ে থাকেন।
সিটি করপোরেশনের এবং মেয়রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নœ করার জন্য উপযুক্ত আদালতে আশ্রয় নিতে বাধ্য থাকবেন বলে নোটিসের জবাবে উল্লেখ করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়