সেশনজট নিরসনে গ্রীষ্মকালীন ছুটি কমাল ঢাবি

আগের সংবাদ

কী নির্দেশনা পেলেন ডিসিরা : জনগণের সেবক হতে হবে > খাদ্য নিরাপত্তা-বাজার স্থিতিশীল রাখা > সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ

পরের সংবাদ

শিল্পকলা একাডেমি : করোনার বিরুদ্ধে নৃত্য উৎসব শুরু হচ্ছে আজ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী নৃত্য উৎসব। সারাদেশের হাজারেরও বেশি নৃত্যশিল্পী এ উৎসবে যোগ দিচ্ছেন। আয়োজকরা জানান, ২৫ জেলার ৭৫টি নৃত্য সংগঠন এতে তাদের মৌলিক নৃত্য পরিবেশন করছে। করোনা চলা সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এ উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে বলে জানান আয়োজকরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে আয়োজিত হচ্ছে উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।
উৎসবের উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বিশেষ অতিথি থাকবেন নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি মিনু হক। সভাপতিত্ব করবেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। স্বাগত বক্তব্য রাখবেন শিল্পকলার সচিব মো. আছাদুজ্জামান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করবেন সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক কাজী আফতাব উদ্দীন হাবলু। উদ্বোধনী পর্বে সামিনা হোসেন প্রেমার পরিচালনায় নৃত্য পরিবেশন করবে ভাবনার শিল্পীরা।
মুজিবশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমির ‘ড্যান্স এগেইনস্ট করোনা’ শীর্ষক কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ উৎসব আয়োজন করা হয়েছে। উৎসবের ৫০টি দলকে ১ লাখ টাকা করে আর ২৫টি দলকে ৮০ হাজার টাকা করে আর্থিক সহযোগিতা দেয়া হয়েছে নতুন পরিবেশনার প্রস্তুতির জন্য। এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার সভাকক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, সচিব মো. আসাদুজ্জামান, নৃত্যশিল্পী সামিনা হোসেন প্রেমা, সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক কাজী আফতাব উদ্দীন হাবলু প্রমুখ।
লিয়াকত আলী লাকী বলেন, নৃত্যশিল্পের বিকাশে সব সবময় বাধা এসেছে। কিন্তু শিল্পী সমাজ সে বাধাকে মোকাবিলা করে এ শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি জানান, এর আগে নৃত্য উৎসবে এক হাজারের বেশি শিল্পীর সমাবেশ কখনোই হয়নি। সে বিচারে এটাই দেশের সবচেয়ে বড় নৃত্য উৎসব হতে যাচ্ছে। এ উৎসবে স্বনামধন্য নৃত্য পরিচালকসহ তরুণ প্রতিভাবান নৃত্য পরিচালকদের কাজ করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। মো. আসাদুজ্জামান বলেন, এ উৎসব থেকে দেশের সামগ্রিক নৃত্যধারার একটি ধারণা পাওয়া যাবে। দেশের নানা প্রান্তে শিল্পীরা কেমন কাজ করছেন তা জানার সুযোগ যেমন

সৃষ্টি হবে। তেমনি বিভিন্ন অঞ্চলের শিল্পীরা দেশের অন্যান্য অংশে কেমন কাজ তা দেখারও সুযোগ পাবেন।
নৃত্যশিল্পী সামিনা হোসেন প্রেমা বলেন, অনেক দিন ধরেই এ উৎসবের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। করোনা চলা সময়ে নিষেধাজ্ঞার জন্য আয়োজনটা বারবার পেছানো হয়েছে। উৎসবে সব জেলা থেকে দল না এনে যারা নতুন পরিবেশনা নিয়ে আসতে পারবেন এমন দলগুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে বলেও জানান প্রেমা।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়