সেশনজট নিরসনে গ্রীষ্মকালীন ছুটি কমাল ঢাবি

আগের সংবাদ

কী নির্দেশনা পেলেন ডিসিরা : জনগণের সেবক হতে হবে > খাদ্য নিরাপত্তা-বাজার স্থিতিশীল রাখা > সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ

পরের সংবাদ

শাহজাদপুর সমাজসেবা কার্যালয় : সেবা নিতে এসে দাঁড়িয়ে থাকতে হয় প্রতিবন্ধীদের

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মো. আব্দুল কুদ্দুস, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) থেকে : টিনশেডের তিনটি ছোট কক্ষ আর এক চিলতে বারান্দা- এই হল শাহজাদপুরের সমাজসেবা কার্যালয়। একে কার্যালয় বললে ভুল হবে। বরং ছোট বৈঠকখানা বলাই ভালো। এর মধ্যেই প্রতিদিন শতাধিক মানুষকে সেবা দিতে হচ্ছে। ফলে করোনাকালীন সময়ে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই চলছে এর কার্যক্রম।
শাহজাদপুর সমাজসেবা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌর এলাকার প্রায় ৪৩ হাজার মানুষকে সমাজসেবা কার্যালয় থেকে সেবা দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে বেসরকারি এতিমখানা, বয়স্ক ও বিধাব ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন, প্রতিবন্ধী জরিপ কার্যক্রম, ক্যান্সারসহ নানা জটিল রোগীর অনুসন্ধান ও তাদের অনুদানের ব্যবস্থা গ্রহণ, ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বিনাসুদে ঋণ দেয়াসহ স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য অনুদানের ব্যবস্থা গ্রহণসহ বিভিন্ন সমাজসেবামূলক কাজ করছে উপজেলা সমাজসেবা বিভাগ। কার্যালয়টিতে সেবা নিতে আসা মানুষের বসার জায়গা তো দূরের কথা, দাঁড়ানোর মতো জায়গাও পর্যাপ্ত নয়। ফলে কক্ষের মধ্যে একে অন্যের শরীর ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কক্ষে জায়গা না হওয়ায় বেশির ভাগ নারী-পুরুষকে বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ঘণ্টার পর ঘণ্টা। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয় প্রতিবন্ধী ও শিশু-কিশোরদের।
কার্যালয়ে গিয়ে কথা হয় উপজেলার খুকনী ইউনিয়নের প্রতিবন্ধী আল আমীন (৪০), রূপবাটি ইউনিয়নের বড় বিন্নাদায়ের গ্রামের আব্দুস ছাত্তার (৬০), ফজলুল হক ফকিরের স্ত্রী ফরিদা খাতুনের সঙ্গে। তাদের মধ্যে কেউ মানসিক, কেউ শারীরিক প্রতিবন্ধী হিসেবে ভাতাভোগী। কেউবা ঘুরছেন ভাতার জন্য। আবার কেউ সুদমুক্ত ঋণ নিতে এসেছেন। তাদের সবার বাড়ি উপজেলা সদর থেকে ৮-১০ কিলোমিটর দূরে। যেসব সুবিধাভোগীর বাড়ি পৌর এলাকার মধ্যে তাদের আসা-যাওয়ার ক্ষেত্রে কষ্ট কম হলেও দূর থেকে যারা সেবা নিতে আসেন তাদের আসা যাওয়ায় যেমন কষ্ট পোহাতে হয়, তেমনি কার্যালয়ে স্থান সংকুলান না হওয়ায় দুর্ভোগের সীমা থাকে না।
সহকারী সমাজসেবা অফিসার বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, লোকবল সংকট নিয়ে আমাদের কাজ করতে হচ্ছে। পর্যাপ্ত কক্ষ না থাকায় প্রায় ঘেঁষাঘেঁষি করে অফিসের কর্মীদের কার্যক্রম চালাতে হচ্ছে।
উপজেলা সমাজসেবা অফিসার দেবাশীষ কুমার ঘোষ বলেন, এ যাবত সমাজসেবা অফিস থেকে প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন বাবদ ১১৮ জন প্রতিবন্ধীকে প্রায় সাড়ে ১৬ লাখ টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১৯০২ জন দরিদ্র ব্যবসায়ীর মাঝে সুদমুক্ত ১ কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে। হতদরিদ্র ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সুদমুক্ত ঋণ নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। এছাড়াও ২২ হাজার ৯৫২ জন বয়স্ক, ১২ হাজার ৪৯ জন বিধবা ও ৫ হাজার ৫৮২ জন প্রতিবন্ধীকে ভাতা দেয়া হয়। এসব সেবা সমাজসেবা অফিস থেকে দেয়ার কারণে অফিস চলাকালে লোকজনের ভিড় লেগেই থাকে।
তিনি আরো জানান, স্থান সংকুলান না হওয়ায় করোনাকালীন সময়েও তাদের পক্ষে সামাজিক দূরত্ব মানা কোনোভাবেই সম্ভব হচ্ছে না।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়