সেশনজট নিরসনে গ্রীষ্মকালীন ছুটি কমাল ঢাবি

আগের সংবাদ

কী নির্দেশনা পেলেন ডিসিরা : জনগণের সেবক হতে হবে > খাদ্য নিরাপত্তা-বাজার স্থিতিশীল রাখা > সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ

পরের সংবাদ

মুম্বাইয়ে রণতরী বিস্ফোরণে ৩ নৌসেনা হত, আহত ১১

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ ডেস্ক : ভারতের মুম্বাইতে এক রণতরীতে বিস্ফোরণের ঘটনায় ভারতীয় নৌবাহিনীর তিন সদস্য নিহত এবং আরো অন্তত ১১ জন গুরুতর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আইএনএস রণবীর নামে বেশ পুরনো ওই যুদ্ধজাহাজটি মুম্বাইয়ের নেভাল ডকইয়ার্ডে অবস্থান করছিল। গতকাল বুধবার নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে হতাহতদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে। বিস্ফোরণের কারণ উদ্ঘাটনে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তদন্ত শুরু করেছে। সাম্প্রতিক অতীতে ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীতে বেশ কয়েকটি প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ঘটেছে। গত মাসেও তামিলনাড়–তে একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ভারতের চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ জেনারেল বিপিন রাওয়াতসহ অনেকে নিহত হন। বিস্ফোরণের শিকার রণতরীটি ভারতীয় নৌবাহিনীর সবচেয়ে পুরনো রণতরীগুলোর একটি। সোভিয়েত যুগের এই ডেস্ট্রয়ারটি ১৯৮৬ সালের এপ্রিলে ভারতীয় নৌবাহিনীতে কমিশন করা হয়। সেদেশে এগুলোকে ‘রাজপুত ক্লাস’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এটি সেই সিরিজের চতুর্থ রণতরী।
নৌবাহিনী এ বিষয়ে জানায়, গত বছর নভেম্বর থেকে আইএনএস রণবীর ভারতের পূর্ব উপকূল থেকে পশ্চিম উপকূলে পাড়ি দিচ্ছিল। খুব শিগগিরই এটির বেস পোর্টে ফিরে আসারও কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই গত মঙ্গলবার বিকালে রণতরীটি যখন মুম্বাইতে ‘ডকড’ ছিল, তখনই বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে ৫টার ভেতর সেটিতে প্রচণ্ড বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরে রাতের দিকে নৌবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, মুম্বাই নেভাল ডকইয়ার্ডে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনায় আইএনএস রণবীরের একটি অভ্যন্তরীণ কম্পার্টমেন্টে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে ও তার জেরে নৌবাহিনীর তিন সদস্য মারা গেছেন। তবে বিস্ফোরণের পর রণতরীর ক্রুরা পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেন। বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়াতে সক্ষম হন। এই বিস্ফোরণের সঙ্গে অস্ত্রশস্ত্র বা গোলাবারুদের কোনো সম্পর্ক নেই। রণতরীর ‘এয়ারকন্ডিশনিং’ রুমে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। যে তিনজন নিহত হন, তারা তারা প্রত্যেকেই ঠিক এর ওপরের কম্পার্টমেন্টে কর্মরত ছিলেন।

গতকাল দুপুরে নৌবাহিনীর মুখপাত্র টুইট করে বিস্ফোরণে নিহতদের পরিবারগুলোর প্রতি নৌপ্রধান অ্যাডমিরাল আর হরি কুমার ও বাহিনীর সবার পক্ষ থেকে গভীর সমবেদনা ব্যক্ত করেন। যারা ওই বিস্ফোরণে মারা গেছেন তাদের নাম কৃষান কুমার, সুরিন্দর কুমার এবং এ কে সিং। এরা প্রত্যেকেই নৌবাহিনীর অত্যন্ত সিনিয়র স্তরের নাবিক। ভারতীয় নৌবাহিনীতে এ ধরনের দুর্ঘটনা ও বিস্ফোরণজনিত ট্র্যাজেডি বহুবারই ঘটেছে। এর আগে ২০১৯ সালের জুন মাসে মাজগাঁও ডকইয়ার্ডে একটি নির্মিয়মান ডেস্ট্রয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে একজন কর্মী নিহত হন। তারও আগে ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে আইএসএস সিন্ধুরক্ষক নামে নৌবাহিনীর একটি রুশ-নির্মিত কিলো-ক্লাস সাবমেরিনেও আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেবার ওই সাবমেরিনের ১৮ জন কর্মীর সবারই সলিলসমাধি ঘটে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়