কাগজ প্রতিবেদক : যুক্তরাষ্ট্রে তদবিরকারী বা লবিস্ট প্রতিষ্ঠান নিয়োগের জন্য বিএনপি কীভাবে আর্থিক লেনদেন করেছে, তা খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি পাঠিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি ওই লেনদেনের বিষয়টি বিএনপি আয়-ব্যয়ের হিসাবে উল্লেখ করেছে কিনা, সেটাও খতিয়ে দেখতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নির্বাচন কমিশনে (ইসি) চিঠি পাঠিয়েছে।
গতকাল বুধবার বিকালে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম চিঠি পাঠানোর বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। দুপুরে ওই চিঠি দুটি পাঠানো হয়।
মো. শাহরিয়ার আলম বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে বিএনপি ও জামায়াতের লবিস্ট নিয়োগসংক্রান্ত যেসব নথি গণমাধ্যমকে দেয়া হয়েছিল, সেগুলো বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠিসহ পাঠানো হয়েছে। বর্তমান আইনের আলোকে এগুলো যাচাই-বাছাই করে কোনো ব্যত্যয় পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানিয়েছি।
একই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে চিঠি পাঠানোর কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনের রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা অনুযায়ী প্রতি বছর জুলাইয়ে হিসাব জমা দেয়ার বিধান রয়েছে। অনেক সময় বিভিন্ন কারণে তা পিছিয়ে যায়। সেখানে এই (যুক্তরাষ্ট্রে লবিস্ট নিয়োগের লেনদেন) আয়-ব্যয়ের হিসাব দিয়েছে কিনা, সেটি জানতে চেয়েছি।
কারণ চুক্তিতে বিএনপি কেন্দ্রীয় দপ্তরের ঠিকানা দেয়ায় কোন তহবিল থেকে ওই অর্থ গেছে এবং তা আয়-ব্যয়ের হিসাবে লিপিবদ্ধ আছে কিনা, নিশ্চিত করতে অনুরোধ জানিয়েছি। এর ব্যত্যয় পেলে নির্বাচন কমিশন তাদের প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
গত মঙ্গলবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তার দপ্তরে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রে তদবিরকারী বা লবিস্ট প্রতিষ্ঠান নিয়োগের জন্য বিএনপি সাড়ে ৩৭ লাখ ডলার (প্রায় ৩২ কোটি টাকা) খরচ করেছে। লবিস্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বিএনপি কীভাবে আর্থিক লেনদেন করেছে, তা খতিয়ে দেখতে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি পাঠাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। লবিস্ট প্রতিষ্ঠানকে দেয়া ওই অর্থ বৈধ পথে আয়ের মাধ্যমে হয়েছে কিনা, সেটা দেখতে যুক্তরাষ্ট্রকেও অনুরোধ জানানো হবে।