সেশনজট নিরসনে গ্রীষ্মকালীন ছুটি কমাল ঢাবি

আগের সংবাদ

কী নির্দেশনা পেলেন ডিসিরা : জনগণের সেবক হতে হবে > খাদ্য নিরাপত্তা-বাজার স্থিতিশীল রাখা > সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ

পরের সংবাদ

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর : অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে রাজস্ব আদায় কমেছে

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

জাবেদুর রহমান জাবেদ, তেঁতুলিয়া (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি : গত অর্থবছরে করোনা মহামারির মধ্যেও লক্ষ্যমাত্রার রেকর্ড ভেঙে প্রায় দ্বিগুণ রাজস্ব আদায় হয়েছিল বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে। তবে নতুন অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে আহরণ হয়েছে প্রায় ১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। নতুন অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩২ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। যার বিপরীতে আদায় হয়েছে ২৪ কোটি ৪৭ লাখ টাকা।
এদিকে করোনা মহামারিতে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে গত অর্থবছরে সরকারের বেঁধে দেয়া লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে রেকর্ড প্রায় দ্বিগুণ রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে সরকারের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। বিপরীতে আদায় হয়েছে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৮৩ শতাংশ বেশি। তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসেই গতবারের অর্জন ¤øান হয়ে গেছে। ৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা কম আদায় হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিএন্ডএফ নাহিরুল ইসলাম জানান, সরকার বেশি রাজস্ব পেয়ে থাকে চাল, গম ও ভুট্টার মতো পণ্য থেকে। কিন্তু এসব পণ্য আমদানিতে সরকার রাজস্ব ফ্রি করায় এ বছর আদায় কম হয়েছে। আমদানি-রপ্তানিকারক আলমগীর হোসেন জানান, বাংলাবান্ধা এমন একটি বন্দর, যেখানে চার দেশের সমন্বয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানির বিশেষ সুবিধা রয়েছে।
কিন্তু এ বছর ই-পেমেন্ট ব্যবস্থার কারণে ব্যবসায়ীরা ঠিকমতো তাদের ব্যবসা পরিচালনা করতে না পারায় এবং বন্দরে ট্রাফিক ব্যবস্থা সুবিধাজনক না হওয়ায় অনেকেই এ বন্দরে ব্যবসা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান কুদরত-ই খুদা মিলন বলেন, স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় ভেঙে পড়েছে ট্রাফিক ব্যবস্থা। ইয়ার্ড সংকুলান হওয়ায় পণ্য খালাসে নেই পর্যাপ্ত ব্যবস্থা। কাস্টমসের বেশি কড়াকড়ি নিয়ম ও বিজিবির অতিরিক্ত চেকিংয়ের কারণে ব্যবসায়ীরা এ বন্দর থেকে তাদের ব্যবসা গুটিয়ে অন্য বন্দরে চলে যাচ্ছে। এ অবস্থায় বন্দর কর্তৃপক্ষের উচিত সেবার মান আরো বাড়ানো। পণ্য আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রে লোডিং ও আনলোডিং ভ্যাটসহ আদায় করলেও লোডিং সেবাটি না দেয়ায় ব্যবসায়ীরা তাদের কাক্সিক্ষত সেবা থেকে বঞ্চিত। লোডিং সেবা নিশ্চিত করা হলে ব্যবসায়ীরা লাভবান হবেন। এতে তাদের আগ্রহ বাড়বে।
এ ব্যাপারে বাংলাবান্ধা স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী কমিশনার মবিন-উল ইসলাম ভোরের কাগজকে বলেন, গত অর্থবছরে প্রচুর পরিমাণে চাল আমদানি হয়েছে। তবে এবার চাল আমদানি বেশি না হওয়ায় আমাদের রাজস্ব আদায় কম হয়েছে। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি পরিমাণ পাথর আমদানি হয়ে থাকে।
করোনা ভাইরাস আক্রান্তের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও দেশের রাজস্ব আয় ঠিক রাখার জন্যই যথাসম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি, ভবিষ্যতে সরকারের রাজস্ব আদায়ে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরটি আরো বেশি ভূমিকা রাখবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়