সেশনজট নিরসনে গ্রীষ্মকালীন ছুটি কমাল ঢাবি

আগের সংবাদ

কী নির্দেশনা পেলেন ডিসিরা : জনগণের সেবক হতে হবে > খাদ্য নিরাপত্তা-বাজার স্থিতিশীল রাখা > সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ

পরের সংবাদ

পিকের অর্থ কেলেঙ্কারি : বাংলাদেশ ব্যাংকের চার কর্মকর্তাকে দুদকে তলব

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : এনআরবি গেøাবাল ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার হালদারের (পি কে হালদার) সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা পাচার কেলেঙ্কারির মামলায় অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের চার কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বুধবার সংস্থাটির উপপরিচালক ও তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান আনোয়ার প্রধানের সই করা পৃথক নোটিসে তাদের আগামী ২৪ জানুয়ারি দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে।
তলবকৃতরা হলেন- বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ ফেরদৌস কবির, এ.বি.এম মোবারক হোসেন, উপপরিচালক মো. হামিদুল আলম ও সহকারী পরিচালক মো. কাদের আলী।
দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধানের নেতৃত্বে একটি টিম পি কে হালদারের আর্থিক কেলেঙ্কারির বিষয়টি অনুসন্ধান করছে। ওই টিম ইতোমধ্যে ১৫টি মামলা করেছে। ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা ভুয়া ঋণের নামে উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের ৩৭ জনের বিরুদ্ধে ১০টি মামলা এবং ৩৫০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ইন্টারন্যাশনাল লিজিং এন্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের ৩৩ শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পৃৃথক পাঁচটি মামলা করেছে দুদক।
ক্যাসিনো অভিযানের ধারাবাহিকতায় পি কে হালদারের বিরুদ্ধে প্রায় তিন হাজার ৬০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ ওঠে। দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতায় দুদক এখন পর্যন্ত তার প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সম্পদ আদালতের মাধ্যমে ফ্রিজ করেছে। পর্যায়ক্রমে তিন ধাপে এখন পর্যন্ত ৫২ আসামি ও অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে।
পি কে হালদারের কেলেঙ্কারিতে এখন পর্যন্ত ১১ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাদের মধ্যে উজ্জ্বল কুমার নন্দী, পি কে হালদারের সহযোগী শঙ্খ বেপারী, রাশেদুল হক, অবান্তিকা বড়াল ও নাহিদা রুনাইসহ ৮ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারি হওয়ার আগেই অর্থ পাচারের মামলা মাথায় নিয়ে দেশ ছাড়েন পি কে হালদার। তিনি যাতে দেশত্যাগ করতে না পারেন সে অনুরোধ জানিয়ে পুলিশের বিশেষ শাখাকে চিঠি দেয়া হয়েছিল। তবে চিঠি পৌঁছানোর দুই ঘণ্টা আগেই বেনাপোল বন্দর দিয়ে দেশ ত্যাগ করেন পি কে হালদার।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়