সেশনজট নিরসনে গ্রীষ্মকালীন ছুটি কমাল ঢাবি

আগের সংবাদ

কী নির্দেশনা পেলেন ডিসিরা : জনগণের সেবক হতে হবে > খাদ্য নিরাপত্তা-বাজার স্থিতিশীল রাখা > সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ

পরের সংবাদ

তামাক চাষে ঝুঁকছেন তিস্তা চরের কৃষকরা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

হাবিবুর রহমান হবি, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) থেকে : স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর জেনেও তামাক চাষে ঝুঁকছেন তিস্তার চরের কৃষকরা। অল্প খরচে অধিক লাভের আশায় বিভিন্ন তামাক কোম্পানির কাছ থেকে স্বল্প লাভে এবং শর্ত সাপেক্ষে ঋণ নিয়ে তামাক চাষ করছেন কৃষকরা। কোম্পানিগুলোর প্রলোভনে তামাক চাষে যুক্ত উপজেলার কমপক্ষে ৩০০ কৃষক ও শ্রমিক। বিশেষ করে তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চণ্ডীপুর, শ্রীপুর ও কাপাশিয়া ইউনিয়নে তিস্তার বালুচরে ব্যাপকভাবে চাষ হয়েছে।
গত ২-৪ বছর তামাকের চাষাবাদ তেমন দেখা যায়নি। চলতি মৌসুমে প্রায় ২০০ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে। তবে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে তামাক চাষের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
হরিপুর ইউনিয়নের চর মাদারীপাড়া গ্রামের তামাক চাষি ফরমান আলী বলেন, অল্প খরচে তামাক চাষে চার গুণ লাভ হয়। এক বিঘা জমিতে ৫-৬ হাজার টাকা খরচ হয়। যদি ফলন ভালো হয়, তাহলে এক বিঘা জমির তামাক ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করা যায়। বর্তমান বাজারে প্রতি মণ তামাক গ্রেড অনুয়ায়ী ৩ থেকে ৮ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
তিনি জানান, বিভিন্ন কোম্পানি তামাক চাষের জন্য কৃষকদের সহজ শর্তে ঋণ দিচ্ছে। ফলনের পর অথবা তামাক দিয়েও ঋণ পরিশোধ করা যায়।
বেলকা বাজারের তামাক শ্রমিক আব্দুর রহমান সরদার বলেন, উপজেলায় কমপক্ষে কয়েকশ তামাক শ্রমিক রয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে তামাক পরিচর্যার কাজ করে আসছি। প্রতিদিন ওষুধ খেতে হয়।
বেলকা বাজারের তামাক ব্যবসায়ী সাজু মিয়া বলেন, জেলার বাইরে থেকে বিভিন্ন মহাজন এসে তামাক কিনে নিয়ে যায়। তবে আগের চেয়ে এখন তামাকের চাষাবাদ অনেক কমেছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তার বিশ্বেশ্বর চন্দ্র বর্মণ জানান, তামাকের নিকোটিন মানুষের শরীরে প্রবেশ করলে পেটের পীড়া, চুলকানি, গ্যাস্ট্রিক, আলসার, চর্মরোগসহ নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই তামাক সেবনকারী এবং তামাক চাষ থেকে দূরে থাকা উচিত।
উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল কবির জানান, তামাক চাষাবাদ এখন অনেক কমে গেছে। কৃষি অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কৃষকদের তামাক চাষাবাদে নিরুৎসাহিত করছে। তবে চরের কিছু কৃষক তামাক চাষ করে আসছে। আশা করা যাচ্ছে অল্প সময়ের মধ্যে উপজেলায় তামাক চাষ বন্ধ হয়ে যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়