প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
কাগজ প্রতিবেদক : তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত নির্বাচন কমিশন গঠনের আইনের খসড়া না পড়েই বিএনপি নেতাদের নানা মন্তব্য তাদের রাজনীতির অন্তঃসারশূন্যতা এবং সব কিছুতে না বলার বাতিকেরই প্রমাণ। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এমন কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, সংবিধানে আইনের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলা আছে। কিন্তু ৫০ বছরেও তা হয়নি। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেয়া বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলই আইন প্রণয়নের কথা বলেছে। সেজন্য সরকার দ্রুত আইন করার উদ্যোগ নেয়। কিন্তু সরকারের এ ভালো উদ্যোগকেও প্রশ্নবিদ্ধ করতে বিএনপি সংবাদ সম্মেলন করেছে। তাদের বক্তব্যে মনে হয়েছে নজরুল ইসলাম খান সাহেব আইনের খসড়াটি পড়েননি। যারা সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য তৈরি করেছেন, তারাও পড়েননি। তথ্যমন্ত্রী বলেন, নজরুল ইসলাম খান বলেছেন- এই সরকারের মাধ্যমে গঠিত নির্বাচন কমিশনের অধীনে তারা কোনো নির্বাচনে যাবেন না। অর্থাৎ নির্বাচন যেভাবেই হোক তারা নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে আছেন। কেউ যখন নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে বসে থাকে, তখন যে কোনো ভালো উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই তাদের উদ্দেশ্য হয়ে থাকে।
লবিস্ট ফার্ম নিয়ে একটি দৈনিকে প্রকাশিত কলামের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, একটি শীর্ষস্থানীয় পত্রিকার প্রথম পাতায় সংবাদ বিশ্লেষণ নামে বিএনপিকে রক্ষার জন্য এটি ছাপানো হয়েছে বলে আমি মনে করি। দেশের রপ্তানি, ভাবমূর্তি বাড়াতে পৃথিবীর বিভিন্ন সরকার পিআর ফার্মের মাধ্যমে লবি করে থাকে, বাংলাদেশ সরকারও করে। কিন্তু বিএনপি দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা, দেশের রপ্তানি বাণিজ্যকে বাধাগ্রস্ত করা এবং আজকে যে দেশের ভাবমূর্তি বিদেশে উজ্জ্বল হয়েছে, সেটিকে ¤øান করার হীন উদ্দেশ্যে অবৈধ অর্থ বিনিয়োগ করে লবিস্ট নিয়োগ করেছে।
ড. হাছান বলেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন যে, নয়াপল্টনের অফিসের ঠিকানা দিয়ে যে লবিস্ট ফার্মের সঙ্গে বিএনপি চুক্তি করেছিল, সেটিকে তারা প্রায় ১৭ কোটি টাকা দিয়েছে। বিএনপির মোট অর্থ ব্যয় প্রায় পৌনে ৪ মিলিয়ন। এ টাকা তারা কোথা থেকে পেল, এর হিসাব কি তারা নির্বাচন কমিশনে দিয়েছে বা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনুমোদন নিয়েছে? কোনোটাই তো নয়।
নারায়ণগঞ্জে মেয়র পদে পরাজিত প্রার্থী তৈমূর আলমকে বিএনপি থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে প্রশ্ন করলে ড. হাছান বলেন, যদিওবা এটি বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিষয়। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে বিএনপি কম্বল বাছতে গিয়ে কম্বলটাই না জানি উজাড় হওয়ার পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে। তৈমূর আলম খন্দকার প্রায় ১ লাখ ভোট পেয়েছেন। নিশ্চয়ই তিনি জনপ্রিয়। নারায়ণগঞ্জে একটি সুন্দর নির্বাচন হয়েছে। এ কারণে বিএনপির গাত্রদাহ হচ্ছে যে, কেন এত সুন্দর নির্বাচন হলো?
শেয়ার করুন
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।