সেশনজট নিরসনে গ্রীষ্মকালীন ছুটি কমাল ঢাবি

আগের সংবাদ

কী নির্দেশনা পেলেন ডিসিরা : জনগণের সেবক হতে হবে > খাদ্য নিরাপত্তা-বাজার স্থিতিশীল রাখা > সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ

পরের সংবাদ

চট্টগ্রামের অধীনে ১২টি আরপিও : আবেদনের সংখ্যা বাড়লেও কাটছেনা জনবল সংকট

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

আছাদুজ্জামান : আবেদনকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়লেও জনবল সংকটে ধুকছে চট্টগ্রামের অধীনে থাকা ১২টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস (আরপিও)।
এসব আরপিওতে প্রতিদিন প্রায় ৪ হাজারের মতো আবেদন জমা পড়ে। যদিও পাসপোর্ট অধিদপ্তর বলছে স্বল্প জনবল নিয়েই সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে কাজ চালানো হচ্ছে আঞ্চলিক অফিসগুলোতে। সীমাবদ্ধতার মধ্যেও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তেমন কোনো অভিযোগ নেই বলে জানা গেছে। তবে জনবল বাড়ানোর বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক প্রশাসন ও অর্থ শিহাব উদ্দিন খান ভোরের কাগজকে বলেন, এ কারণেই বাড়তি শ্রম দিতে হচ্ছে। এরপরও আমরা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তবে আমাদের জনবল বাড়ানো হলে সেবার মান বৃদ্ধিসহ কার্যক্রম গতিশীল হবে। তিনি আরো বলেন, জনবল বাড়ানোর জন্য জনপ্রশাসন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে ২০১৯ সালে প্রস্তাব পাঠানো হয়। যাচাই-বাছাই শেষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৯৭৭টি পদ সৃষ্টির সুপারিশ করে, যা পরে অর্থ মন্ত্রণালয়ে আটকানো হয়। মন্ত্রণালয় যাচাই-বাছাই শেষে ১৯৯টি পদ সৃষ্টির জন্য সম্মতি দিয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।
এদিকে পাসপোর্ট ও ভিসা অফিস চট্টগ্রামের পরিচালক মো. আবু সাইদ গতকাল শুক্রবার এ প্রতিবেদককে বলেন, আবেদনকারীদের কার্যক্রম নির্বিঘœ রাখতে আমরা নির্ধারিত সময়ের বাইরেও কাজ করে যাচ্ছি। তবে বাড়তি কাজের জন্য ইনসেনটিভের ব্যবস্থা চালু করা গেলে ভালো হতো বলেও জানান চট্টগ্রাম পাসপোর্ট অফিস প্রধান। তিনি বলেন, আমরা প্রথমত আবেদনকারীদের সঙ্গে ওপেন ডোর পলিসি (ওডিপি) করি। কারো কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা জানি। তারপর যদি কারো কোনো সমস্যা দেখা দেয় তাহলে সেই সমস্যা সমাধানের জন্য নির্দেশনা দেই। অপর এক প্রশ্নের জবাবে এ কর্মকর্তা আরো বলেন, আঞ্চলিক অফিসগুলো পরিদর্শন করা হয়। পাসপোর্ট কার্যক্রমের সঙ্গে সরাসরি অংশীজন, যেমন- পুলিশ ও ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ব্যাংকে জমা চালানের বিষয় নিয়ে মতবিনিময় করা হয়। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অতিরিক্ত সময়ে আমরা অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করি। যদি সরকার আমাদের ইনসেনটিভের ব্যবস্থা চালু করে তাহলে আমাদের অতিরিক্ত সেবা দেয়ার আগ্রহ অনেকাংশে বেড়ে যাবে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়