সেশনজট নিরসনে গ্রীষ্মকালীন ছুটি কমাল ঢাবি

আগের সংবাদ

কী নির্দেশনা পেলেন ডিসিরা : জনগণের সেবক হতে হবে > খাদ্য নিরাপত্তা-বাজার স্থিতিশীল রাখা > সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ

পরের সংবাদ

এসআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা : মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মুন্সীগঞ্জ জেলার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এস এম সাকিব হোসেনকে পুলিশ পিকআপ ভ্যানে তুলে নিয়ে চাঁদা দাবি, আটকে রেখে মারধর ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগে রাজধানীর কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুবেল মল্লিকসহ দুই জনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অপর আসামি হিসেবে ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়ে খসরু রোমান নামের আরেকজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার আদালত সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলামের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা সাকিব হোসেন। বিচারক মামলাটি আমলে গ্রহণ করে আগামী ২৯ মার্চ আসামিদের আদালতে হাজির হতে সমন জারি করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৮ জানুয়ারি মালিবাগ সিআইডি পুলিশের ট্রেনিং সেন্টার থেকে বিকালে ভাটারা নূরের চালায় বোনের বাসায় যান এস এম সাকিব হোসেন। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে আমেরিকান দূতাবাসের অপর পাশে দাঁড়ান। তখন পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান থেকে দুজন লোক নামেন। খসরু রোমান নিজেকে ডিবি পুলিশের এসি এবং রুবেল মল্লিক এসআই পরিচয় দেন। তখন তারা সাকিব হোসেনকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যেতে চান। তিনি যেতে অপরাগতা প্রকাশ করলে হাতে হ্যান্ডকাফ লাগিয়ে চোখ বেঁধে জোর করে গাড়িতে তোলেন। তারা সাকিবকে গাড়িতে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ঘোরেন। এরপর তার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন খসরু।
এ সময় এসআই রুবেল খসরুকে বলেন, সরকারি অফিসারকে টাকা নিয়ে ছেড়ে দিলে আমরা ফেঁসে যাব। তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা দে। একজন বলেন, ওকে বাসায় নিয়ে যা। বাসায় স্বর্ণের বার আছে তা দিয়ে ডাকাতি মামলায় আটক দেখিয়ে চালান দিই। এসআই রুবেল বলেন, ১১ জানুয়ারির একটি অজ্ঞাত মামলা আছে ওকে জড়িয়ে দিই বলে এজাহারে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।
এজাহারে আরো বলা হয়, এরপর আসামিরা বাসার ঠিকানা জেনে সাকিবকে তার বোনের বাসায় নিয়ে আসে। তারপর খসরু সাকিবের ব্যাগের মধ্যে স্বর্ণের বার রেখে আসেন। পরবর্তীতে আসামিরা তাকে মিথ্যা অভিযোগে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়ে আদালতে পাঠানোর সময় মারপিট করে জখম করেন এবং ভয়ভীতি দেখান। এছাড়া পরদিন ১৯ জানুয়ারি আসামিরা সাকিবের বোনের বাসায় জোরপূর্বক প্রবেশ করে নগদ তিন লাখ টাকা, মোবাইল ফোন ও অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায় বলে উল্লেখ করা হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়