সেশনজট নিরসনে গ্রীষ্মকালীন ছুটি কমাল ঢাবি

আগের সংবাদ

কী নির্দেশনা পেলেন ডিসিরা : জনগণের সেবক হতে হবে > খাদ্য নিরাপত্তা-বাজার স্থিতিশীল রাখা > সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ

পরের সংবাদ

এটিএম কার্ড জালিয়াতি : বাংলাদেশিসহ তুরস্কের নাগরিক গ্রেপ্তার

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ২০, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : তুরস্কের এক নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। তার নাম হাকান জানবুরকান (৫৫)। গত মঙ্গলবার গুলশান-১ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় হাকানের এক বাংলাদেশি সহযোগী মফিউল ইসলামকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
হাকান জানবুরকান ও তার এ দেশীয় সহযোগীকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান। ডিএমপি মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স কার্যালয়ে গতকাল বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সিটিটিসি সূত্র বলছে, গ্রেপ্তারকৃত হাকান জানবুরকান আন্তর্জাতিক এটিএম কার্ড ক্লোনিং স্ক্যামিং চক্রের অন্যতম মাস্টারমাইন্ড। গত ২-৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের বিভিন্ন বুথে গিয়ে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইউএসএ, ভারত, তুরস্ক, সৌদিআরব, অস্ট্রিয়া, জার্মানি, ভিয়েতনাম, যুক্তরাজ্য, কানাডা, বলিভিয়া, স্পেন, ফিনল্যান্ড ও নরওয়েসহ প্রায় ৪০টি দেশের নাগরিকদের ক্রেডিট কার্ড ক্লোন করে স্ক্যামিংয়ের মাধ্যমে কমপক্ষে ৮৪ বার টাকা উত্তোলনের জন্য চেষ্টা করে সে। ইস্টার্ন ব্যাংক লি. এন্টি স্ক্যামিং টেকনোলজি ব্যবহার করায় অ্যালার্ম সিস্টেমের মাধ্যমে বিষয়টি অবহিত হয়ে হ্যাকার কর্তৃক স্ক্যামিং রোধ করতে সক্ষম হয়। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর তুরস্কের ওই নাগরিক বাংলাদেশে এসে পল্টনে একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান করে। এরপর ২-৪ জানুয়ারি ইস্টার্ন ব্যাংকের বিভিন্ন বুথে গিয়ে ক্লোনিংয়ের মাধ্যমে টাকা ওঠানোর চেষ্টা করে। তিনি আরো বলেন, এর আগে ২০১৬-১৮-১৯-২০ সালেও বাংলাদেশে আসে হাকান জানবুরকান। তখনো তার উদ্দেশ্য ছিল বুথ থেকে টাকা তুলে নেয়া। সে সময় বাংলাদেশে এসে তার সহযোগী গ্রেপ্তার মফিউল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করে। এই মফিউল ইসলামের ভাই একই অপরাধে গ্রেপ্তার হয়ে ভারতে জেলে রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে তুরস্কের নাগরিক হাকান জানান, ভারতের আসামে পল্টন বাজার পুলিশ স্টেশনে এটিএম স্ক্যামিং মামলায় দুই বাংলাদেশিসহ গ্রেপ্তার হয়েছিল সে। তখন তারা ভারতের বিভিন্ন এটিএম বুথ থেকে প্রায় ১০ লাখ রুপি আত্মসাৎ করেছিল। দেশটিতে জেলে থাকার সময় আগরতলার গোবিন্দ বল্লভ পন্থ হাসপাতালে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় পালিয়ে যায় তুরস্কের এ নাগরিক। পরবর্তীতে এক ভারতীয় ব্যক্তির সহায়তায় ২ লাখ রুপির বিনিময়ে সিকিম হয়ে নেপাল পৌঁছান তিনি। সেখান থেকে ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট সংগ্রহ করে নিজ দেশে ফিরে যান ও নতুন পাসপোর্ট তৈরি করেন। এই চক্রে একাধিক বাংলাদেশি, তুরস্ক, বুলগেরিয়া, মেক্সিকো ও ইন্ডিয়াসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক জড়িত রয়েছে বলে জানা যায়। গ্রেপ্তার দুজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর পল্টন থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। কার্ড ক্লোনিং অপরাধে আরো কারা জড়িত এসব বিষয় জিজ্ঞাসাবাদে জানা যাবে বলে জানান আসাদুজ্জামান। কোন ভিসায় হাকান জানবুরকান বাংলাদেশে এসেছিলেন- জানতে চাইলে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তিনি ব্যবসায়িক ভিসায় বাংলাদেশে আসেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়