দুদকের মামলা : অব্যাহতি পেতে হাইকোর্টে ওসি প্রদীপের আবেদন

আগের সংবাদ

‘কাগুজে’ বিদেশি বিনিয়োগ : সাড়া মেলে নিবন্ধনের এক-তৃতীয়াংশের,হ রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং সুশাসনের অভাব

পরের সংবাদ

রাজশাহীতে সেমিনারে বক্তারা : গ্রামীণ জনপদের গণহত্যা কখনই আমলে নেয়া হয়নি

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : গ্রামবাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেসব গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে, সেগুলোকে কখনো আমলে নেয়া হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার রাজশাহীর হেরিটেজ আর্কাইভে ‘নীচের থেকে ইতিহাস : গণহত্যার স্মৃতিচারণ এবং ইতিহাস রচনা’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হেরিটেজ আর্কাইভের প্রতিষ্ঠাতা ড. মাহবুবর রহমান।
প্রথম অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন গণহত্যা জাদুঘরের ট্রাস্টি সম্পাদক ড. চৌধুরী শহীদ কাদের। প্রাবন্ধিক গণহত্যার জন-ইতিহাসের গুরুত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি গণহত্যার প্রচলিত ইতিহাসচর্চা ও পদ্ধতির দুর্বলতাগুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন, গণহত্যায় আক্রান্ত ও তাদের স্বজনদের স্মৃতিচারণে উঠে আসছে যে ইতিহাসে সেটাকে কখনো এখানে প্রধান ধারা হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি। বিবেচনা করা হলেও কেবল সিলেক্টেড মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্তের স্মৃতিচারণকেই গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, সে তুলনায় গ্রামবাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেসব গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে, সেগুলোকে কখনো আমলে নেয়া হয়নি। এই স্মৃতিভাষ্যকে গুরুত্ব দিয়েই গণহত্যা জাদুঘর কাজ করে যাচ্ছে। এরই মধ্যে গণহত্যা জাদুঘর জেলা জরিপ, গণহত্যা নির্ঘণ্টের কাজ করেছে। এই কাজ এখনো চলমান। এই কাজের মাধ্যমে গণহত্যার যে ইতিহাস এতদিন মানুষের মনে লুকিয়ে ছিল, যা মূলধারার ইতিহাস গ্রন্থে ঠাঁই পায়নি সেটা ফুটে উঠছে। গণহত্যা সংঘটিত হওয়ার প্রায় ৫০ বছর পর এই কাজ দুরূহ, তবু জাদুঘরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত গবেষকরা দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে পড়ছে। তুলে আনছে সেই হৃদয়বিদারক দুঃখগাথা। তবে জাদুঘর কেবল সংরক্ষণেই সীমাবদ্ধ নয়, বরঞ্চ ডিজিটাল ম্যাপিং পদ্ধতি ব্যবহার করে সে ইতিহাসের ডিজিটালকরণের উদ্যোগ নিচ্ছে এবং কাজটা অনেক দূর এগিয়েও গিয়েছে। নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধ ও গণহত্যার ইতিহাস পৌঁছে দিতে এর কোনো বিকল্প নেই।
প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. হাসিবুল আলম প্রধান, রাজশাহী বঙ্গবন্ধু কলেজের উপাধ্যক্ষ মো. কামরুজ্জামান। ড. হাসিবুল আলম পাকিস্তানি গণহত্যাকারীদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। মো. কামরুজ্জামান বলেন, সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে এখানে ইতিহাস বিকৃতি শুরু হয় পাঠ্যপুস্তকে। এটার বিরুদ্ধে সবাইকে সরব থাকতে হবে। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. হোসনে আরা খানম। আরো আলোচনা করেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এনামুল হক, গ্রাফিক ডিজাইন, ক্রাফট এন্ড হিস্ট্রি অব আর্টস বিভাগের সুভাষ চন্দ্র সুতার। অনুষ্ঠানটি সবার জন্য উন্মুক্ত ছিল।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়