দুদকের মামলা : অব্যাহতি পেতে হাইকোর্টে ওসি প্রদীপের আবেদন

আগের সংবাদ

‘কাগুজে’ বিদেশি বিনিয়োগ : সাড়া মেলে নিবন্ধনের এক-তৃতীয়াংশের,হ রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং সুশাসনের অভাব

পরের সংবাদ

ফব্রুয়ারির শুরুতে ইসি : সার্চ কমিটি গঠন দুয়েক দিনের মধ্যেই

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

এন রায় রাজা : নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ শেষ। এবার সার্চ কমিটি গঠনের পালা। দুয়েক দিনের মধেই রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ‘সার্চ কমিটি’ গঠন করবেন বলে বঙ্গভবন সূত্রে জানা গেছে। আর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে নতুন কমিশন ঘোষণা করবেন তিনি। নতুন ইসি গঠন নিয়ে গত ২০ ডিসেম্বর জাতীয় পার্টির সঙ্গে সংলাপ শুরু হয়ে গত সোমবার (১৭ জানুয়ারি) ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনার মধ্য দিয়েই তা শেষ হয়।
সার্চ কমিটিতে কারা থাকছেন জানতে চাইলে রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানান, রাষ্ট্রপতির সার্চ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়ায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবে। সেখান থেকেই ঘোষণা দেয়া হবে। তবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারককে আহ্বায়ক করে এই কমিটিতে পদাধিকার বলে থাকবেন হাইকোর্ট বিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ বিচারক, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান ও মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি)। এছাড়া দুইজন বিশিষ্ট নাগরিককেও এ কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে, তাদের একজন নারী হবেন বলে জানান তিনি। এই কমিটি নতুন ইসি গঠনের জন্য দলগুলো থেকে পাওয়া নামের তালিকা ও রাষ্ট্রপতির দেয়া তালিকা থেকে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম প্রস্তাব করবে রাষ্ট্রপতির কাছে।
সার্চ কমিটিকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সিইসি ও অন্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য প্রাপ্ত তালিকা থেকে সর্বোচ্চ ১০ জনের নাম সুপারিশ করার সময়সীমা দেয়া হবে। সার্চ কমিটির সদস্যরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে ১০ জনের নামের তালিকা চূড়ান্ত করবেন। পরে তা রাষ্ট্রপতির কাছে উপস্থাপন করবেন। রাষ্ট্রপতি এই ১০ জনের নামের মধ্য থেকে সিইসিসহ ৫ জনের নাম চূড়ান্ত করবেন। ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে দেবেন রাষ্ট্রপতি। সেই কমিশনের অধীনেই ২০২৩ সালের শেষে হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। গত ২০ ডিসেম্বর সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে বঙ্গভবনে এবারের সংলাপের খাতা খুলেছিল। গত ১৭ জানুয়ারি বিকাল ৪টায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে আলোচনায় বসেন রাষ্ট্রপতি। সেদিন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দলটির ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বঙ্গভবনে গিয়ে ইসি গঠনে চার দফা প্রস্তাব দেয়। সংলাপে অংশ নেয়া দলগুলোর পক্ষ থেকে অর্ধ শতাধিক নামের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব বলেন, এবার মোট ৩২টি দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে আগের সংলাপগুলোতে অংশ নেয়া বিএনপি এবার রাষ্ট্রপতির উদ্যোগে সাড়া দেয়নি। এছাড়া সিপিবি, বাসদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এলডিপি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, জেএসডি এবারের সংলাপে অংশ নেয়নি। আর নিবন্ধিত ৭টি দল আমন্ত্রণ পায়নি। এবার সংলাপে অংশ নেয়া বেশির ভাগ দলই ইসি গঠনে সংবিধানের নির্দেশনা অনুযায়ী আইনের কথা বলেছে। সংলাপে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রসঙ্গও তুলেছেন কেউ কেউ।
উল্লেখ্য, সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন হবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনারকে নিয়ে। সার্চ কমিটি তৈরির মাধ্যমে ইসি গঠনের বিষয়ে প্রণীত আইনের বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি তাদের নিয়োগ দেবেন।
ইতোমধ্যে গত সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদের আলোকে ইসি গঠনে আইনের একটি খসড়া অনুমোদন করা হয়েছে। খসড়ায় বলা হয়েছে- প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে ছয় সদস্যের একটি সার্চ কমিটি গঠন করা হবে, এ কমিটি যোগ্য ব্যক্তিদের নাম প্রস্তাব করবে। সেখান থেকেই রাষ্ট্রপতি সিইসি ও অন্য চার কমিশনারদের নিয়োগ দেবেন। অর্থাৎ আইনে সেই সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি গঠনের বিধান থাকছে। আর একাদশ জাতীয় সংসদের ষষ্টদশ অধিবেশনে আইনটি পাস করা হবে বলে জানান আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়