দুদকের মামলা : অব্যাহতি পেতে হাইকোর্টে ওসি প্রদীপের আবেদন

আগের সংবাদ

‘কাগুজে’ বিদেশি বিনিয়োগ : সাড়া মেলে নিবন্ধনের এক-তৃতীয়াংশের,হ রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং সুশাসনের অভাব

পরের সংবাদ

প্রতারণা মামলা : রিজেন্ট সাহেদসহ ৩ জনের বিচার শুরু

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৯, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমসহ তিনজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলায় অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালত এ আদেশ দেন। ফলে এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হলো। সাহেদ ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন- প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাসুদ পারভেজ ও রিজেন্ট কেসিএস লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার শিপন আলী।
গতকাল কারাগার থেকে আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ থেকে মামলাটির অভিযোগ গঠনের জন্য শুনানি করা হয়। অপরদিকে আসামিদের নির্দোষ দাবি করে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী দবির উদ্দিন। শুনানি শেষে বিচারক আসামিদের অব্যাহতির আবেদন খারিজ করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে ২০২০ সালের ২৪ জুলাই বালু ব্যবসায়ী এস এম শিপন দুজনকে আসামি করে উত্তরা পশ্চিম থানায় প্রতারণার একটি মামলা দায়ের করেন। এরপর মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালে ৮ নভেম্বর তিনজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করে সিআইডি।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৭ অক্টোবর বাদীর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে ১৯ কোটি ৭৫ লাখ টাকার বালু সরবরাহের অর্ডার করেন আসামি শিপন আলী। এজন্য শিপন বাদীর পূবালী ব্যাংকে তিনটি চেক প্রদান করেন। তাই অর্ডার অনুযায়ী বাদী ৬১ লাখ টাকার বালু সরবরাহ করেন। পরবর্তী সময়ে চেকগুলো ব্যাংক থেকে ডিসঅনার হয়। শিপন আলীর কাছে বাদী বিল দাবি করলে সময়ক্ষেপণ করেন। পরে শিপন জানান, রিজেন্ট চেয়ারম্যান সাহেদ এবং প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদ পারভেজের নির্দেশে বালুর অর্ডার দিয়েছেন তিনি। এরপর ২০২০ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি তাদের কাছে টাকা চাইতে গেলে আসামিরা তাকে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে অফিস থেকে বের করে দেন। এভাবে আসামিরা বালু বিক্রির ৬১ লাখ টাকা প্রতারণা করে আত্মসাৎ করেছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এ মামলাটি ছাড়াও অস্ত্র ও দুদক আইনে সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে অনেক মামলা চলমান রয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়