আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার : আরসাপ্রধানের ভাই শাহ আলী আটক

আগের সংবাদ

বালু ব্যবসায়ীদের কারণে ৩ মাস ধরে বন্ধ ড্রেজার : নদী পুনরুদ্ধার কাজে বাধা

পরের সংবাদ

৪ দিন ধরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে : দুর্ভোগে সাধারণ মানুষ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি : দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে আবারো জেঁকে বসেছে শীত। মাঘের প্রথমদিন থেকে জেলায় কমতে শুরু করে তাপমাত্রা। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাস বইতে শুরু করায় দুর্ভোগ বেড়েছে সাধারণ ও নিম্ন আয়ের মানুষের। গতকাল সোমবার সকালে জেলায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি রেকর্ড করেছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। এর আগে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
গত শনি ও রবিবার ৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এর আগের গত শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মাঘ মাসে শীতের তীব্রতা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
এদিকে তীব্র শীতে নিম্ন আয়ের মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। কাজ না পেয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়েরসহ সাধারণ মানুষ। সদর উপজেলার বুড়িরবান গ্রামের দিনমজুর বাবুল হোসেন (৪০) বলেন, ভাঙা বেড়ার ঘরে পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করি। লেপ-তোশক নেই। খড় ও চটের বিছানায় থাকি। রাতে বাতাস একদিক দিয়ে ঢুকে অন্যদিক দিয়ে বের হয়ে যায়। আমাদের কষ্ট কেউ বোঝে না। 
একই এলাকার নাজমুল হোসেন (৩১) বলেন, দিন আনি, দিন খাই। কাজ না পেলে খাবারের কোনো উপায় নেই। আমরা না পেলাম কম্বল না পেলাম ঘরবাড়ি। কাজ খুঁজব না মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরব! আমাদের কেউ নেই আল্লাহ ছাড়া। 
পঞ্চগড় পৌরসভার নিমনগড় এলাকার লাইলী বেগম বলেন, শীতে কাবু হয়ে গেছি। না পেলাম কম্বল, না পেলাম ঘরবাড়ি। শীতে খুব কষ্ট হয়।
জেলা সদর উপজেলার ধাক্কামারা ইউনিয়নের পাথর ও বালু শ্রমিক শহিদুল ইসলাম জানান, শীতের সকালে বরফ ঠাণ্ডা পানিতে নেমে পাথর ও বালু তুলতে হয়। জীবনের তাগিদে সব কিছুই করতে হয়। শীতকে ভয় করলে কি চলবে?
জেলা শহরের ক্ষুদ্র চা দোকানদার রবিউল ইসলাম জানান, প্রতিদিন সকালে দোকান খুলতে হয়। ঠাণ্ডায় যাতায়াত করা কষ্ট। তবুও প্রতিদিন যাতায়াত করতে হয়। জেলায় সাড়ে তিন লক্ষাধিক শীতার্ত মানুষ রয়েছেন। তাদের মধ্যে জেলা প্রশাসন প্রায় ৩৪ হাজার মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছেন। পাশাপাশি বেসরকারি বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনও শীতার্তদের জন্য এগিয়ে এসেছেন। 
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, গতকাল সোমবার সকাল ৯টায় ৮ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। শৈত্যপ্রবাহ থাকায় ঠাণ্ডা বেড়েছে। আগামী তিন থেকে চার দিন তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়