আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার : আরসাপ্রধানের ভাই শাহ আলী আটক

আগের সংবাদ

বালু ব্যবসায়ীদের কারণে ৩ মাস ধরে বন্ধ ড্রেজার : নদী পুনরুদ্ধার কাজে বাধা

পরের সংবাদ

মোবাইল কোর্টের ভয়ে মাস্ক পরেন কেউ কেউ!

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ প্রতিরোধে বিধিনিষেধ থাকলেও রাজধানীতে অধিকাংশ মানুষই স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। অনেকেই মাস্ক পরছেন না, আবার কারো মাস্ক থাকে পকেটে বা থুতনির নিচে। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে অফিস, আদালত, বাজার, শপিংমল ও বাসসহ সব ধরনের পরিবহনে অবাধে যাতায়াত করছে লোকজন। কোথাও সামাজিক দূরত্বের বালাই নেই। ভ্রাম্যমাণ আদালত দেখলেই জরিমানার ভয়ে সবার সচেতনতা বাড়ে। কিন্তু আদালত চলে যেতেই আগের অবস্থায় ফিরে যায়। গতকাল সোমবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্রই দেখা দেছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ১১টি বিধিনিষেধ জারি করেছিল। এতে বলা হয়েছিল, দোকান, বাজার, বিপণিবিতানসহ জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে। কিন্তু এই নির্দেশনার প্রতি কেউ তোয়াক্কা করছে না। মহাখালী বাস টার্মিনাল এলাকায় গতকাল ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করেছে বিআরটিএ। ব্যবহার না করায় বেশ কয়েকজনকে জরিমানা করেছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াসিন মনিরার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত-৫। এ সময় মাস্ক কেন পরছে না- জানতে চাওয়া হলে অনেকেই পকেট ও ব্যাগের ভেতর থেকে মাস্ক বের করে দেখান।
অপরাধের মাত্রা ও কারণ বুঝে ভ্রাম্যমাণ আদালত যাত্রী ও পথচারীদের বেশির ভাগকেই সতর্ক করেন। কাউকে জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় মনির নামের এক ব্যক্তির মুখে মাস্ক ছিল না। ভ্রাম্যমাণ আদালত তার কাছে মাস্ক না পরার কারণ জানতে চাইলে তিনি জানান,
‘মাস্ক হাত থেকে নিচে পড়ে গেছে।’ এ সময় আদালত তাকে ১০০ টাকা জরিমানা করেন।
বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালতের পাশাপাশি সরকারি নির্দেশনা কার্যকর করতে ঢাকা জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতও অভিযান পরিচালনা চলছে। তাদের অভিযান চলাকালে দেখা গেছে, ভ্রাম্যমান আদালতের তৎপরতা দেখার সঙ্গে সঙ্গে লোকজন দূরে সরে যাচ্ছে। অনেকে থুতনির মাস্ক মুখে তুলছে। পকেট থেকে বের করে হাতে নিচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটসহ অন্য কর্মকর্তারা স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়টি বোঝানোর চেষ্টা করছেন নগরবাসীকে।
রাজধানীর অন্যান্য এলাকায়ও স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে সব শ্রেণির মানুষের মধ্যে ব্যাপক উদাসীনতা লক্ষ্য করা গেছে। দুপুর থেকে পূর্বাচলে বাণিজ্যমেলায় যাওয়ার জন্য কুড়িল বিশ্বরোড, খিলক্ষেত, বিমানবন্দর এলাকায় মানুষের ঢল নামে। সেখানেও স্বাস্থ্যবিধির বালাই দেখা যায়নি। মেলায় প্রবেশের সময় মাস্ক পরলেও ভেতরে প্রবেশের পর আর মাস্ক ব্যবহারে কোনো আগ্রহ থাকে না। মাস্ক ছাড়াই পুরো মেলা ঘোরাফেরা করছে দর্শনার্থীরা। মেলায় বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়নসহ সব জায়গাতেই দর্শনার্থীরা সেলফি ও ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এ সময় কারো মুখে মাস্ক থাকে না। কিন্তু মেলার ভেতরে এসব তদারকির জন্যও কেউ নেই।
হোটেল, রেস্টুরেন্ট, ফাস্টফুডের দোকানগুলোতে খাওয়ার আগে করোনার ‘টিকা সনদ’ দেখানোর সরকারি নির্দেশনা রয়েছে। এমনকি হোটেলে খাবার স্টাফদের সবার মুখে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। কিন্তু কোনো রেস্টুরেন্টেই টিকা সনদ দেখতে চাওয়া হয় না। রেস্তোরাঁর লোকজনও স্বাস্থ্যবিধি মানছে না। গত সোমবার রাজধানীর মগবাজার এলাকায় কয়েকটি হোটেল রেস্তোরাঁয় ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রবেশ করে এমন সব দৃশ্য দেখতে পেয়ে কর্তৃপক্ষকে সতর্ক করে। কিন্তু ভ্রাম্যমাণ আদালত চলে যাওয়ার পর আবার একই অবস্থার সৃষ্টি হয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়