আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার : আরসাপ্রধানের ভাই শাহ আলী আটক

আগের সংবাদ

বালু ব্যবসায়ীদের কারণে ৩ মাস ধরে বন্ধ ড্রেজার : নদী পুনরুদ্ধার কাজে বাধা

পরের সংবাদ

বক্তব্যে বাধা-হট্টগোলের প্রতিবাদ : অধিবেশন কক্ষ ত্যাগ করলেন হারুন

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : সরকারি দলের সদস্যদের হইহুল্লোড় এবং বাধার প্রতিবাদে অধিবেশন কক্ষ থেকে বের হয়ে যান বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ। গতকাল সোমবার জাতীয় সংসদের ষষ্টদশ অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বক্তব্যের সময় সরকারদলীয় এমপিরা হইহুল্লোড় করলে এ ঘটনা ঘটে।
বিএনপির সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদ বলেন, গত সংসদ অধিবেশনের পর আমার নির্বাচনী এলাকায় গত ৩০ নভেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। তার আগে গত ৫ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আমি গত সংসদে আবেদন রেখেছিলাম, আমরা এই সংসদে আছি, অন্তত পক্ষে আমার নির্বাচনী এলাকায় যেন জনগণ ভোট দিতে পারে এই নিশ্চয়তা চেয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম এবং সরাসরি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলাম এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও কথা বলেছিলাম। কিন্তু আমার এলাকায় সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন হয়নি। সেদিন কোনো নির্বাচন হয়নি। সেখানে ইভিএমে ভোট হয়েছে। ইভিএম কেন্দ্রগুলোতে অনেকে ব্যাচ লাগিয়ে ঘুরেছে, কেউ বলছে আমি ইভিএম মনিটর করছি, কেউ বলছে ইভিএমের টেকনিশিয়ান। আমি প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি, কিন্তু কোনো উত্তর পাইনি। সে কারণে সেখানে সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন। এ নির্বাচনে কারচুপির সঙ্গে যারা জড়িত তদন্ত সাপেক্ষে তাদের খুঁজে বের করে শাস্তি দেবার দাবি জানান। গতকাল সোমবার তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়। স্পিকারের অনুমতি নিয়ে পয়েন্ট অব অর্ডারে নিজ নির্বাচনী এলাকা পৌরসভার নির্বাচনের কথা তুলতে গিয়ে কথাগুলো বলেন।
হারুনুর রশীদ বলেন, নির্বাচন কমিশন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ হচ্ছে। আসলে নির্বাচন কমিশনের ব্যাপারে জনগণের

আগ্রহ, উৎসাহ একেবারেই নেই। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আলোচনায় অংশ নেবেন। এ সময় তিনি একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনে সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী আইন প্রণয়নের দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী তিন বছরপূর্তিতে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, দুর্নীতিবাজ যেই হোক ছাড় দেয়া হবে না। দুর্নীতির সংজ্ঞা হচ্ছে অসৎ উপায় অবলম্বন করা। আপনি অসৎ উপায়ে নির্বাচন করেন, নির্বাচিত হন, অসৎ উপায় অবলম্বন করে ভর্তি হন, নিয়োগ পান, অসৎ উপায়ে যে কোনো জায়গায় কর্ম বাস্তবায়ন করেন, সেটি ইসলামে নিষিদ্ধ রয়েছে। এ সময় সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা হইহুল্লোড়, হট্টগোল করে তাকে বসার দাবি জানাতে থাকেন।
এ সময় সরকারি দলের সদস্যরা হইচই করলে হারুন স্পিকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কথা বলতে থাকেন। তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশের নির্বাচনের কথা বলব না। প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি করব। আমার এলাকায় পৌরসভায় যে নির্বাচন হয়েছে। সেই নির্বাচনে যে অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে, তার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন কিনা? এটি আমার দাবি। না হলে কেন সংসদে থাকব?
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়েছে। তুলনামূলকভাবে নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক কম হয়েছে। এখানে মাত্র ৫০ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে।
এ সময় স্পিকার বারবার তাকে বসতে বলেন, কিন্তু হারুন তার বক্তব্য চালিয়ে যেতে থাকেন। তিনি সরকারি দলের এমপিদের উদ্দেশে বলেন, এখনই এত অধৈর্য হলে চলবে কেন, আমাদের কথা শুনতে হবে, তা না হলে সংসদে এসেছি কেন? এ সময় হইচইয়ের মাত্রা আরো বেড়ে গেলে হারুনের মাইক বন্ধ করে দেন স্পিকার। মাইক বন্ধের প্রতিবাদে তিনি সংসদ কক্ষ ত্যাগ করেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়