আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার : আরসাপ্রধানের ভাই শাহ আলী আটক

আগের সংবাদ

বালু ব্যবসায়ীদের কারণে ৩ মাস ধরে বন্ধ ড্রেজার : নদী পুনরুদ্ধার কাজে বাধা

পরের সংবাদ

দুই শিক্ষিকার সাক্ষ্য : নকল করা অবস্থায় মোবাইলসহ ধরা পড়ে অরিত্রী

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীকে বাবা-মায়ের সামনে অপমান করে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগে কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও শাখাপ্রধান জিনাত আক্তারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন কলেজটির দুই শিক্ষিকা। গতকাল সোমবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালতে সাক্ষ্য দেন সিনিয়র শিক্ষিকা লুৎফুন নাহার করিম এবং প্রভাতী শাখার খণ্ডকালীন শিক্ষিকা আফসানা আমাতু রাব্বী।
আদালতে লুৎফুন নাহার করিম বলেন, ২০১৮ সালের ২ ডিসেম্বর তিনি এবং আফসানা আমাতু রাব্বী পরীক্ষার ডিউটিতে ছিলেন। স্কুলের নিয়ম অনুযায়ী, পরীক্ষার কেন্দ্রে কোনোরকম ডিভাইস বা মোবাইল আনা নিষিদ্ধ থাকা সত্ত্বেও অরিত্রী মোবাইল নিয়ে আসে। পরীক্ষা শেষ হওয়ার আনুমানিক ১০ মিনিট আগে নকল করা অবস্থায় তারা অরিত্রীর কাছ থেকে মোবাইল উদ্ধার করেন। মোবাইলে বার্ষিক পরীক্ষার সিলেবাস ডাউনলোড করা ছিল। বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল পাওয়ায় তারা পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষক জাহানারা শিরিনের কাছে উত্তরপত্র ও ডিভাইস জমা দিয়ে চলে আসেন। পরীক্ষা শেষে অরিত্রী মোবাইল চায়নি। সে ছিল শান্ত। তার সঙ্গে কোনো রকম অশোভন আচরণ করা হয়নি।
আরেক শিক্ষিকা আফসানা আমাতু রাব্বীও তার সাক্ষ্য ঘটনার একই বিবরণ দেন। এ সময় আসামি অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌস ও জিনাত আক্তার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। দুজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক আগামী ৩০ জানুয়ারি পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেন। মামলাটিতে ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে এ নিয়ে ৮ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো। ২০১৮ সালের ৪ ডিসেম্বর অরিত্রীর আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে শিক্ষকদের নামে পল্টন থানায় মামলা করেন তার বাবা দিলীপ অধিকারী।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর পরীক্ষা চলাকালে অরিত্রীর কাছে মোবাইল ফোন পান শিক্ষকরা। মোবাইল ফোনে নকল করেছে এমন অভিযোগে অরিত্রীকে তার মা-বাবাকে নিয়ে স্কুলে যেতে বলা হয়। তারা স্কুলে গেলে ভাইস প্রিন্সিপাল তাদের অপমান করে কক্ষ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন। অধ্যক্ষের কক্ষে গেলে তিনিও একই আচরণ করেন। এরপর অরিত্রী বাসায় ফিরে রুমের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দেয়।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়