আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার : আরসাপ্রধানের ভাই শাহ আলী আটক

আগের সংবাদ

বালু ব্যবসায়ীদের কারণে ৩ মাস ধরে বন্ধ ড্রেজার : নদী পুনরুদ্ধার কাজে বাধা

পরের সংবাদ

অসময়ে মেঘনায় ধরা পড়ছে প্রচুর ইলিশ

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৮, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

মেহেদী হাসান শরীফ, দৌলতখান (ভোলা) থেকে : দৌলতখানের মেঘনা নদীতে গত দুই সপ্তাহ ধরে ধরা পড়ছে প্রচুর ইলিশ মাছ। অসময়ে ইলিশ ধরা পড়ায় দৌলতখানের জেলেরা মহাখুশি। এ কারণে বাজারের ইলিশের দাম আগের চেয়ে কমে গেছে। তবে জেলেদের জালে বড় ইলিশের চেয়ে জাটকা ইলিশই বেশি ধরা পড়ছে। জাটকা ধরার অপরাধে উপজেলা মৎস্য বিভাগ দৌলতখানের বিভিন্ন মাছঘাটে অভিযান চালিয়ে গত দুইদিনে প্রায় ১০০ মণ জাটকা ইলিশ জব্দ করে।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হাছনাইন জানান, দৌলতখানের মেঘনায় গত দুই সপ্তাহ ধরে ১২শ টন ইলিশ মাছ ধরা পড়েছে বলে ধারণা করছি। দৌলতখানের ঘোষেরহাট মাছঘাটের জেলে মো. নান্টু জানান, শীত মৌসুমে নদীতে ইলিশ মাছ কম ধরা পড়ে। শনিবার রাতে নদীতে জাল ফেলেন। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর দেখতে পান পুরো জালে ইলিশ ভর্তি। তবে ইলিশ মাছ সাইজে একটু ছোট। পরে মাছগুলো আড়তে এনে ৩৩ হাজার টাকা বিক্রি করেন। গত শীত মৌসুমে এত ইলিশ ধরা পড়তে দেখেননি তিনি। রুবেল নামে এক জেলে জানান, এবার নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে। তবে এবার মাছের দাম আগের চেয়ে কমে গেছে। দৌলতখানের ঘোষেরহাট মাছঘাট আড়তের ব্যবসায়ী মো. আব্বাছ মাহমুদ শান্ত বলেন, নদীতে অসময়ে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় এখন ঘোষেরহাট আড়তে দৈনিক ৮ থেকে ১০ লাখ টাকার ইলিশ বিক্রি হয়। তবে মাছের দাম আগের চেয়ে একটু কম।
ভবানীপুর মাছঘাটের মৎস্য আড়দার মো. কামাল হোসেন জানান, আগের চেয়ে আড়তে ইলিশ কেনাবেচা বেশি। দাম নদীতে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় জেলেপল্লীতে খুশির আমেজ। এবার জেলেরা ইলিশ বিক্রি করে গত বছরের ধারদেনা কিছুটা হলেও পরিশোধ করতে পাড়বে। তাই এবার জেলেপল্লীতে খুশির আমেজ বইছে। অন্যদিকে নদীতে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ার কারণে ট্রলার মালিকরাও দৌলতখানের মেঘনার কোলঘেঁষে নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। নৌকা তৈরির কারিগর শুভুল জানান, নদীতে ইলিশ ধরা পড়ায় নৌকা তৈরির কাজ বেড়ে গেছে। দম পালানোরও সময় পাওয়া যায় না।
সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহফুজুল হাছনাইন বলেন, হঠাৎ করে শীতে দৌলতখানের মেঘনায় প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ছে। তবে জেলেদের জালে বড় ইলিশের চেয়ে জাটকা ইলিশই বেশি ধরা পড়ছে। জাটকা ইলিশ ধরা বন্ধে মৎস্য বিভাগ ও ভোলা কোস্টগার্ড যৌথ অভিযান চালানো হচ্ছে। গত দুদিনে প্রায় ১০০ মণ জাটকা জব্দ করা হয়েছে। পরে জাটকাগুলো বিভিন্ন এতিম খানায় বিতরণ করা হয়। দৌলতখান উপজেলায় নিবন্ধিত মোট জেলের সংখ্যা ২২ হাজার। অনিবন্ধিত জেলে রয়েছে প্রায় ১৫ হাজারের মতো। বিগত কয়েক বছরে নদীতে তেমন ইলিশ না ধরা পড়ায় এ অঞ্চলের বেশিরভাগ জেলেরা পেশা বদল করে অন্য পেশায় চলে গেছেন। বর্তমানে এ শীতে হঠাৎ করে নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরায় পড়ায় আবারো নতুন করে এ পেশায় জেলেরা ঝুঁকছেন।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়