অধ্যাপক সাইদা হত্যা : গ্রেপ্তার আনারুলের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

আগের সংবাদ

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আওয়ামী লীগের সংলাপ : নির্বাচন কমিশন গঠনে ৪ প্রস্তাব

পরের সংবাদ

স্বাস্থ্যবিধি উধাও, মাস্কে অনীহা

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ
আপডেট: জানুয়ারি ১৭, ২০২২ , ১২:০০ পূর্বাহ্ণ

কাগজ প্রতিবেদক : মহামারি করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ রোধে সরকারের দেয়া ১১ দফা বিধিনিষেধ কাজে আসছে না। গত এক সপ্তাহে ২২২ শতাংশ শনাক্ত বাড়লেও এ নিয়ে গণপরিবহনের যাত্রী ও সাধারণ মানুষের যেন কোনো মাথাব্যথাই নেই। গতকাল রবিবার রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অধিকাংশ মানুষই ইচ্ছেমতো চলাচল করতে দেখা গেছে।
নগরীর সব জায়গার রাস্তায় মানুষের ঢল নামলেও কারো মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে কোনো আগ্রহ দেখা যায়নি। গুলিস্তান, পল্টন, মতিঝিল, শাপলা চত্বর এলাকায় একেবারেই স্বাভাবিকভাবে লোকজন চলাচল করছে। দোকানে কেনাবেচা হচ্ছে। রেস্টুরেন্টগুলোতেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টি যেন সবার অজানা। রাস্তায় চলাচল করছে মাস্কবিহীন পথচারীরা। রামপুরা, মগবাজার, ফার্মগেটসহ অন্য এলাকাতেও কাউকে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। সেগুন বাগিচা, মৌচাক, পান্থপথসহ বিভিন্ন এলাকায় স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে শত শত মানুষকে টিসিবির পণ্য কেনার জন্য গাদাগাদি করে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে।
গোপীবাগের বাসিন্দা সেবিকা দেবনাথ জানান, গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে কোনো নিয়মই মানা হচ্ছে না। বাসাবো বৌদ্ধ মন্দিরের সামনে থেকে মৌচাক পর্যন্ত আসার পথে লাব্বায়েক পরিবহনের বাসে ব্যাপক ভিড় থাকে। সব আসনে যাত্রী থাকার পরও দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন করা হয়। যাত্রীরাও স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। সিট না থাকলেও একসঙ্গে ১৭ জন শিক্ষার্থী জোর করেই বাসে উঠে যায়। মালিবাগ আসার পরে বাসটিতে পা রাখার আর জায়গা ছিল না।
মিরপুরের বাসিন্দা রোমানাও জানালেন একই কথা। তিনি বলেন, বাসে একেবারেই স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। সব সিট পূর্ণ হওয়ার পরও বাসে দাঁড়িয়ে যাত্রী নেয়া হয়। যাত্রীরাও অনেক সময় জোর করে বাসে উঠে পড়ে। এভাবে চলতে থাকলে ওমিক্রনের সংক্রমণ আরো বেড়ে যাবে বলে মনে করেন তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, বেশ কয়েক মাস পর্যন্ত কিছুটা স্থিতিশীল ছিল করোনার সংক্রমণ। কিন্তু গত বছরের ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ থেকে ক্রমাগত বাড়তে শুরু করেছে। ওমিক্রনের কারণে দেশে সংক্রমণ বাড়ছে। সারা বিশ্বে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টকে সরিয়ে প্রভাব বিস্তার করছে ওমিক্রন। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মানা ছাড়া বিকল্প কিছু নেই। রাজধানীর বাসিন্দারা আত্মতুষ্টিতে ভুগছে। এ কারণে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে উদাসীন।
এদিকে গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে কিনা তা নজরদারির জন্য বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত গতকালও তৎপর ছিল।
ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সামনে ভ্রাম্যমাণ আদালত বিভিন্ন গণপরিবহন থামিয়ে যাত্রী ও চালকদের সতর্ক করতে দেখা গেছে। এ সময় কয়েকজনকে জরিমানাও করা হয়েছে।

মন্তব্য করুন

খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।

জনপ্রিয়