কাগজ প্রতিবেদক, কুড়িগ্রাম : কুড়িগ্রামের রৌমারীতে কাপড় সেলাইয়ের পাওনা টাকা চাওয়ায় তারা বানু (৩০) নামের এক গৃহবধূকে একই পরিবারের ৪ জন মিলে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে।
আহত তারা বানুকে রক্তাক্ত অবস্থায় রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে । ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার সকালে উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের জিগনীকান্দি গ্রামে। রৌমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক মোক্তারুল ইসলাম সেলিম বলেন, রোগী এখন আশঙ্কামুক্ত রয়েছে।
আহত তারা বানু জিগনীকান্দি গ্রামের জোনাব আলীর স্ত্রী। অভিযুক্তরা হলো- একই গ্রামের মৃত ঘুতু শেখের ছেলে সাহাবুদ্দিন (৫০), নাতি আজিবর (৩০), সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী আজিরন (৪০) ও আজিবরের স্ত্রী মৌসুমী (২২)।
আহত তারা বানু বলেন, আমার স্বামী দরিদ্র হওয়ায় তাকে সাংসারিক সহযোগিতার জন্য বাড়িতে সেলাইয়ের কাজ করি। গত ১৫ দিন আগে আজিবর আমার কাছে দুই সেট জামা ও একটি বড় জাল সেলাই করে নেয়। তার মজুরির ৫০০ টাকা দেই-দিচ্ছি করে দেয় না। আজ সকালে তার কাছে গিয়ে বললাম সুই-সুতা কিনতে যাব আমার পাওয়া টাকাটা দেন। এ সময় উল্টা সে আমাকে ধমক দেয়। পরে আমি বাড়ি চলে যাই। তার কিছুক্ষণ পরে সে আমার বাড়িতে এসে হঠাৎ করে আমার বুকে খামচা দিয়ে ধরে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে। এ সময় আমি আমার জীবন বাঁচাতে তার পরনের লুঙ্গি টেনে ধরলে ওর বাবা সাহাবুদ্দি মা আজিরন ও স্ত্রী মৌসুমী এসে আমাকে মারপিট শুরু করে। এ সময় আমার মাথা ফেটে রক্ত বের হলে আমাকে ছেড়ে দিয়ে চলে যায়। পরে গ্রামবাসী আমাকে উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই গ্রামের প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, তারা বানুর চিৎকার শুনে আমরা ছুটে আসি। এসে দেখি সাহাবুদ্দিনসহ ৪ জন তারা বানুকে পিটিয়ে আহত করেছে। আমরা ধমক দিলে তারা চলে যায়। এ সময় আহত তারা বানুকে উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রৌমারী থানার ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।