কাগজ ডেস্ক : ইরানের পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি শহরে গতকাল রবিবার ভোরে বেশ বড় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। স্থানীয় সংবাদ সংস্থা ও সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, রবিবার ভোরে এই বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। তবে বিস্ফোরণের বিস্তারিত তথ্য সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি। সাম্প্রতিক মাসগুলেতে ইরানে অনুরূপ বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটে। পরে দেশটির কর্তৃপক্ষ জানায়, অঘোষিত বিমান প্রতিরক্ষা মহড়া করছে ইরানের সামরিক বাহিনী।
ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরানের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে অঘোষিত বিমান প্রতিরক্ষা মহড়া করার কথা জানায় তেহরান। ইরানের আসাদাবাদ শহরের গভর্নর বলেন, একটি ভয়ঙ্কর শব্দ শোনা গেছে। তবে শব্দের উৎস পরিষ্কার নয়। তার এই বক্তব্য দেশটির আধা সরকারি বার্তা সংস্থা ফার্স প্রকাশ করেছে। একই কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল, এটি আবহাওয়াজনিত বজ্রপাতের শব্দ। তবে পরে বজ্রপাতের শব্দের বিষয়টি নাকচ করা হয়।
ইরানের রোকনা নিউজ ওয়েবসাইট তার টেলিগ্রাম চ্যানেলে বলেছে, দেশটির কিছু জায়গায় শব্দের তীব্রতা এমন ছিল যে ঘরের দরজা-জানালা কাঁপছিল। লোকজন ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।
টুইটারে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে বিস্ফোরণগুলো বিমানবিধ্বংসী অস্ত্র থেকে আসার বিষয়টি প্রতীয়মান হয়। তবে রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে এই ফুটেজের সত্যতা যাচাই করতে সক্ষম হয়নি।
২০১৫ সালের ঐতিহাসিক পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার লক্ষ্যে ওয়াশিংটনের সঙ্গে তেহরানের পরোক্ষ আলোচনা চলছে। এদিকে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বাড়ছে। ইসরায়েলি নেতারা দীর্ঘদিন ধরে ইরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের হুমকি দিয়ে আসছে। ইসরায়েল বলছে, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। ইরানকে এই প্রচেষ্টা থেকে নিবৃত্ত করতে কূটনীতি তৎপরতা ব্যর্থ হলে তারা তেহরানের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেবে। অবশ্য, ইরান বারবার বলে আসছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচির উদ্দেশ্য শান্তিপূর্ণ।
মন্তব্য করুন
খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, ভোরের কাগজ লাইভ এর দায়ভার নেবে না।